‘অসুস্থ সু চিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১৯ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি বেশ অসুস্থ। কিন্তু অসুস্থ থাকার পরেও তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে না। এমন অভিযোগ করেছেন সু চির ছেলে কিম এরিস। সম্প্রতি সু চিকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে গৃহবন্দি করে রেখেছে দেশটির জান্তা সরকার। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সু চির নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করে সামরিক বাহিনী।

সু চির পরিবারের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, গুরুতর দাঁতের ব্যথার কারণে কিছু খেতে পারছেন না ৭৮ বছর বয়সী এই বেসামরিক নেত্রী। কিম অ্যারিস বলছেন, তার মায়ের জরুরি সেবা প্রয়োজন। এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ আবেদন জানালেও তা গুরুত্ব দিচ্ছে না জান্তা সরকার।

আরও পড়ুন: কারাগার থেকে এবার গৃহবন্দি সু চি

যদিও জান্তা সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সু চি ভালো আছেন। সামরিক এবং বেসামরিক চিকিৎসকরা নিয়মিত তার চেকআপ করছেন বলেও দাবি তার।

জুলাইয়ের শেষের দিকে, নেইপিদোর একটি সরকারি ভবনে সু চিকে সরিয়ে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে গৃহবন্দি জীবন কাটছে তার। তবে তাকে কোথায় রাখা হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি জান্তা সরকার। সু চির ছেলে এরিস বলেন, একজন অসুস্থ বন্দিকে চিকিৎসা সেবা না দেওয়া খুবই নির্মম এবং নিষ্ঠুর আচরণ।

৪৬ বছর বয়সী এরিস বর্তমানে যুক্তরাজ্যে আছেন। তিনি জানান, তার মা বমি করছেন এবং অসুস্থতার কারণে তার মাথা ঘুরছে। তিনি বলেন, দাঁতে প্রচণ্ড ব্যথার কারণে তার মা কিছুই খেতে পারছেন না। প্রয়োজনীয় চিকিত্সা না পেলে তার জীবন ঝুঁকির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন: মাকে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ জানালেন অং সান সু চির ছেলে

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সু চির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ৩৩ বছরের সাজা হয়েছে। তখন থেকেই দেশটি গৃহযুদ্ধের দিকে চলে গেছে। সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে প্রাণ হারায় হাজার হাজার মানুষ। সেনা আদালতে অত্যন্ত গোপনীয়তার মধ্যেই তার সাজা ঘোষণা করা হয়। প্রায় দুই বছর ধরে সু চির অবস্থা সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।