আলোচনার ফল শূন্য?

৪ ঘণ্টার বৈঠক শেষে জিনপিংকে ‘স্বৈরাচার’ বললেন বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৫ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক হয়েছে। আলোচনায় উঠে এসেছে দ্বিপক্ষীয় নানান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বৈঠকে বিশ্বের এ দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে সম্পর্কের পারদ গলে কি না সেদিকে নজর ছিল গোটা বিশ্বের। কিন্তু সুদীর্ঘ বৈঠক যে সেভাবে ফলপ্রসূ হয়নি, তা স্পষ্ট হলো বাইডেনের কথায়। জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই তাকে আবারও ‘স্বৈরাচার’ বলে কটাক্ষ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সান ফ্রান্সিসকোর প্রায় ২৫ মাইল দক্ষিণে ফিলোলি এস্টেটের একটি বাগানবাড়িতে বৈঠকে বসেন বাইডেন ও জিনপিং। প্রায় চার ঘণ্টা আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে।

আরও পড়ুন>> গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা/ যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলা

এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে জিনপিংকে ‘স্বৈরাচারী’ বলে বেইজিংয়ের তোপের মুখে পড়েছিলেন বাইডেন। বুধবার বৈঠক শেষে তাই এক সাংবাদিক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি এখনো চীনা প্রেসিডেন্টকে ‘একনায়ক’ বলে মনে করেন কি না?

উত্তরে বাইডেন বলেন, ওনাকে দেখে তাই মনে হয়। মানে, যেভাবে তিনি দেশশাসন করছেন, চীনের মতো একটি কমিউনিস্ট দেশ, যার সরকারের গঠন আমাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, সেসব বিবেচনায় জিনপিং একজন স্বৈরশাসক।

আরও পড়ুন>> অনলাইন মানচিত্র থেকে ইসরায়েলের নাম মুছে ফেলেছে চীন

এদিনের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রকে খোঁচা দিতে পিছপা হননি চীনের প্রেসিডেন্টও। তাইওয়ান প্রসঙ্গ তুলে কড়া বার্তা দেন জিনপিং।

চীনা সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, জিনপিং বাইডেনকে বলেছেন, স্বাধীন তাইওয়ান নীতিকে সমর্থন না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আপনারাই। এবার তা প্রমাণ করুন।

আরও পড়ুন>> তাইওয়ানের স্বাধীনতা সমর্থন করি না: ব্লিঙ্কেন

এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ফের যুক্তরাষ্ট্রের ‘এক চীন’ নীতির কথা মনে করিয়ে দেন জিনপিং। জবাবে বাইডেন তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমি এই নীতি পরিবর্তন করবো না।

সূত্র: ব্লুমবার্গ, এনডিটিভি, এএফপি
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।