দুবাইয়ে শুরু হচ্ছে জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৪০ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

বিশ্বে কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী জীবাশ্ম জ্বালানিগুলোর একটি হচ্ছে তেল। আর তেলের অন্যতম বড় উৎপাদক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার আলোচনা হবে কার্বন নিঃসরণ কমানো নিয়ে। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) থেকে দুবাইয়ে শুরু হচ্ছে এবারের জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৮)। চলবে আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

কপ-২৮র সভাপতি করা হয়েছে আমিরাতের জাতীয় তেল কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী সুলতান আল-জাবেরকে। ফলে সম্মেলন সফল করতে তিনি নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, জলবায়ু সম্মেলনের আগে সুলতান আল-জাবের বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে গ্যাস ও অন্যান্য বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ফাঁস হওয়া কিছু নথির ভিত্তিতে তৈরি এক প্রতিবেদনে এই অভিযোগ তুলেছে বিবিসি।

আরও পড়ুন>> কপ-২৭/ ক্ষতিপূরণের আশ্বাস ছাড়া নেই কোনো অর্জন

তবে ফাঁস হওয়া নথিগুলো ‘সঠিক নয়' বলে মন্তব্য করেছেন কপ-২৮র একজন মুখপাত্র।

আল-জাবের মনে করেন, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ধীরে ধীরে সরে আসার বিষয়টি ‘অবশ্যম্ভাবী'। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তেল শিল্পকেও জড়াতে হবে বলে মনে করেন তিনি। তাই তেল ও গ্যাস উত্তোলনের সময় কার্বন নির্গমন কমাতে কোম্পানিগুলোর সহায়তা চান অ্যাডনক প্রধান। সেই লক্ষ্যেই এবারের সম্মেলনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি ব্যবসায়ীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ব্রিটেনের রাজা চার্লস এই সম্মেলনে অংশ নেবেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থাকবেন না।

আরও পড়ুন>> জলবায়ু সম্মেলনে ঘুমিয়ে পড়েন ক্লান্ত প্রতিনিধিরা

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কয়লা, তেল ও গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ করা উচিত নাকি জলবায়ুর ওপর এসব শিল্পের প্রভাব কমাতে প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গুরুত্ব দেওয়া উচিত, তা নিয়ে দেশগুলোর মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কপ-২৮ সম্মেলনে সেই বিভাজন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার তিনগুণ বাড়াতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ লক্ষ্যে সম্মেলন চলার সময় একটি চুক্তি করতে চায় তারা। ১০০টির বেশি দেশ এর পক্ষে বলে বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। তবে চীন এবং ভারত এখনো পুরোপুরি এর পক্ষে সমর্থন জানায়নি।

আরও পড়ুন>> জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারেই ভালো থাকবে পৃথিবী

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব দেশে খরা, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে, তাদের সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে একটি তহবিল গঠন চূড়ান্ত করার চেষ্টা হবে এবারের সম্মেলনে। এরই মধ্যে তার খসড়াও তৈরি হয়েছে। তবে সম্মেলনে সেটি অনুমোদন পেতে হবে।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে, রয়টার্স
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।