কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলার তৃতীয় দিনে ‘মৈত্রী দিবস’ উদযাপিত

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩

পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার বইপাড়া কলেজ স্কয়ারে চলছে ১১তম বাংলাদেশ বইমেলা। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ছিল মেলার তৃতীয় দিন। অন্যদিনগুলো মতো এদিনও বইমেলায় উপচে পড়েছে ভিড়। আর তার মধ্যেই উদযাপিত হলো ‘মৈত্রী দিবস।

৬ ডিসেম্বর দিনটি ভারত-বাংলাদেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সালের এই তারিখেই বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছিল তৎকালীন ভারত সরকার। বইমেলায় সেই দিনটিকেই স্মরণ করা হলো।

মেলায় কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস উপস্থিত থেকে দিনটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমাদের কাছে এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতে তা আরও বাড়বে।

মেলায় আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মানিত সংস্কৃতি জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালযয়ের অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ী, কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের কাউন্সিলর (কনস্যুলার) আলমাস হোসেনসহ বিশিষ্টজনেরা।

মেলার মঞ্চে ‘ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতি রাষ্ট্র বিশ্ব বাঙালির ঐক্যসূত্র’ শীর্ষক আলোচনায় ইমন কল্যাণ লাহিড়ী বলেন, কলকাতায় বাঙালিরা বিপন্ন। সার্বিকভাবে এই চিত্রই ফুটে উঠেছে বাঙালির শহরে। এ শহরে অন্য ভাষার মানুষ বেড়ে যাচ্ছে। মানুষ বাংলা বলা ছেড়ে দিয়ে হিন্দি বলতেই বেশি পছন্দ করছে। এরকম চলতে থাকলে বাঙালি দূরে চলে যাবে বাঙালির শহর থেকে।

এরপর তিনি বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, বাংলা ভাষাকে টিকিয়ে রেখেছে একমাত্র বাংলাদেশ। আমার মনে হয়, কাঁটাতার ভুলে ঢাকা-কলকাতা একসঙ্গে থাকার সময় এসেছে।

কলকাতা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদের পাঠ্যসূচিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিষয় রাখা হবে। এই বিষয়ে ইমন কল্যাণ লাহিড়ী জানান, বঙ্গবন্ধুর যে তথ্য, মুজিবের যে ধারণা-ভাবনা, সেটি দক্ষিণ এশিয়ার পাঠ্যপুস্তকে থাকা প্রয়োজন। সেই হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতা চিন্তা এবং ভাষার ওপর যে রাষ্ট্র গঠন করার ডাক, তা যাদবপুর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে থাকতে চলেছে।

এদিন বাঙালির জাতির লড়াই, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ গঠন, বাংলা ভাষার স্বীকৃতির বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন গোলাম কুদ্দুস

উল্লেখ্য,বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি, ঢাকা-এর সম্মিলিত উদ্যোগে কলকাতার কলেজ স্কয়ার প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে ১১তম বাংলাদেশ বইমেলা।

গত ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে আগাীমী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই মেলা। মেলায় অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ৬৫টি প্রকাশনা সংস্থা। মেলায় বই বিক্রির পাশাপাশি প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকছে আলোচনা, কবিতাপাঠ এবং বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

ডিডি/কেএএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।