ফেসবুকের ক্ষতিকর প্রভাব

প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন মার্ক জুকারবার্গ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৪ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

কয়েকদিন পরেই ২০ বছরে পা দিতে চলেছে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক। কিন্তু এমন আনন্দঘন মুহূর্তের আগে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হলো সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গকে। শিশুদের ওপর সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে মার্কিন সিনেটের এক শুনানিতে সবার সামনে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

‘বড় প্রযুক্তি সংস্থা ও অনলাইনে শিশুদের যৌন হয়রানি সংকট’ শীর্ষক এক শুনানির জন্য গত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের মূল কোম্পানি মেটা, টিকটক, এক্সের (সাবেক টুইটার) মতো শীর্ষ সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলোর প্রধান নির্বাহীদের ডেকেছিল মার্কিন সিনেটের বিচার বিভাগীয় কমিটি।

আরও পড়ুন>> বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তরুণীর নগ্ন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায়

এসময় যৌন শিকারী এবং কিশোর-কিশোরীদের আত্মহত্যাসহ অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অনলাইনের নানা বিপদ প্রতিরোধে যথেষ্ট ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য সিনেটরদের তোপের মুখে পড়েন সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট সিইওরা।

একপর্যায়ে, প্রশ্নবাণে জর্জরিত মার্ক জুকারবার্গকে উঠে দাঁড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। শুনানির সময় এ ধরনের ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন>> ইনস্টাগ্রামে যেসব মেসেজের রিপ্লাই দিলে হ্যাক হতে পারে ফোন

টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় এ শুনানি। শুরুতেই সিনেট কমিটি একটি ভিডিও চালায়, যাতে শিশুরা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিপীড়নের কথা জানায়। এছাড়া, ছবি শেয়ার করার পর যৌন শিকারীদের মাধ্যমে চাঁদাবাজির শিকার তরুণ-তরুণীদের আত্মহত্যার ঘটনা উল্লেখ করেন সিনেটররা।

একপর্যায়ে রিপাবলিকান সিনেটর জোশ হাওলি সোশ্যাল মিডিয়া প্রধানদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা কি এখন ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ক্ষমা চাইতে চান, যারা আপনাদের পণ্যের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে?

আরও পড়ুন>> গোপনে ফোনে যা সার্চ করছেন সবই ট্র্যাক করছে ফেসবুক

এসময় মার্ক জুকারবার্গ উঠে দাঁড়ান এবং ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, আপনারা যা কিছুর ভেতর দিয়ে গেছেন, তার জন্য আমি দুঃখিত। আপনাদের পরিবারগুলো যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা হওয়া উচিত নয় এবং এর জন্যই আমরা এত বেশি বিনিয়োগ করেছি। আপনাদের পরিবারগুলোকে যা কিছু সহ্য করতে হয়েছে, তা যেন আর কারও সঙ্গে না ঘটে, সেটি নিশ্চিত করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

সূত্র: এএফপি, রয়টার্স
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।