দিদির হাত ধরেই রাজনীতিতে থেকে গেলাম: দেব

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮:২৭ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ও তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য দীপক অধিকার (দেব) বলেছেন, আমি রাজনীতিতে এসেছিলাম দিদির (মমতা ব্যানার্জী) হাত ধরে, থেকেও গেলাম দিদির হাত ধরে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার আরামবাগে সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

বেশ কিছুদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে চর্চার বিষয় ছিল রাজনীতি থেকে দেব অবসর নিচ্ছেন কি না। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দেব। তারপরে তিনি বলেছিলেন, রাজনীতি আমাকে ছাড়ছেই না। অর্থাৎ চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে তিনি আবারও ঘাটাল আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তা একপ্রকার স্বীকারই করে নিয়েছেন দেব।

এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন জেলায় সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন দেব। সোমবার হুগলির আরামবাগে আয়োজিত সরকারি কর্মসূচিতে একসঙ্গে দেখা যায় মমতা ও দেবকে। দেব বলেন, আমার দেখা শ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। আমি ঘাটালের মানুষের জন্য আবার রাজনীতিতে ফিরলাম। এখানকার মানুষ স্বাধীনতার আগে থেকেই ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’র জন্য লড়াই করছে। সেই স্বপ্ন পূরণ করতে আমি আবারও ফিরে এলাম।

‘২০২৪ সালে ঘাটাল থেকে কে জিতবে আমি জানি না। তবে আমি দশ বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে লড়াই করেছি, যাতে তারা ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের ছাড়পত্র দিয়ে দেয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তা দিচ্ছে না। আমি দিদিকে বলবো, ঘাটাল থেকে যেই জিতুক, নির্বাচনের পর মাস্টার প্ল্যানটা যাতে আপনার হাত ধরে হয়। এটুকুই আবদার আপনার (মমতা ব্যানার্জী) কাছে আমার।

দেবের দাবিতে গুরুত্ব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা দেব আমাকে বলেছে। আমি এরই মধ্যে সেটি নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আমরাই করছি। এই প্রকল্পের ফলে ১৭ লাখ মানুষ উপকৃত হবে। কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়পত্র দিচ্ছে না বলে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।

মমতা ব্যানার্জী বলেন, এই মহাপ্রকল্প বাস্তবায়নে ১ হাজার ২৫০ কোটি রুপি লাগবে। কাজ করতে হবে ধাপে ধাপে। তিন থেকে চার বছর সময় লাগবে। দেব আমার কাছে আবদার করেছে, দিদি তো আর ভাইকে ফেরাতে পারে না। কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য বসে না থেকে আমি আমার সরকারি কর্মকর্তাকে পরিকল্পনা তৈরি করে তিস-চার বছরের মধ্যে করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে ফেলার নির্দেশ দিচ্ছি।

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান মূলত ঘাটালকে ঘিরে থাকা মূল নদী ও শাখা নদীগুলোর নিয়মিত ড্রেজিং করা। যাতে সেগুলোর জলধারণ ক্ষমতা বাড়ে ও বন্যার হাত থেকে ঘাটাল রক্ষা পায়।

বলা হয় এ প্রকল্পের আওতায় চন্দ্রকোনা-ঘাটাল-দাসপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় পাম্প হাউজ তৈরি করা হবে। সেই সঙ্গে কংসাবতী ও শিলাবতী নদীপথ সংস্কার, স্থানীয় খালগুলোতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার, ঘাটালের নদী ও খালগুলোতে লক গেট বাসানো এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।

ডিডি/এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।