চট্টগ্রামে মাদক মামলায় কাভার্ডভ্যান চালকের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৮:২২ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে ৮৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় মো. রফিকুল ইসলাম (৫৭) নামে এক কাভার্ডভ্যান চালককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৭ এপ্রিল) চট্টগ্রাম চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম সিরাজাম মুনীরা এ রায় দেন। একই রায়ে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রায়ে অভিযোগপত্রের অন্য তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। দণ্ডিত রফিকুল ইসলাম রাজধানী ঢাকার কাফরুল থানাধীন মিরপুর ১৩ নম্বর পূর্ব বাইশটেকি হাজী আলী হোসেন সড়কের মৃত সিরাজ উদ্দিন বেপারীর ছেলে।

অন্যদিকে খালাসপাওয়া ব্যক্তিরা হলেন ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানাধীন কালকনি এলাকার বড় বাড়ির মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. আব্দুর রহমান (৫৯), রাজধানীর পল্লবী থানার ১২ নম্বর সড়কের মো. মুসলিমের ছেলে রবিউল ইসলাম রাব্বি (৩৬) এবং কক্সবাজার জেলার রামু থানার খুনিয়াপালং ইউপির আবদুল হাকিমের ছেলে জামাল উদ্দিন (৪৫)।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ। তিনি বলেন, অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি রফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। অভিযোগপত্রের অন্য তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৬ মার্চ সিএমপির গোয়েন্দা-বন্দর বিভাগের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানার ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় মমতাজ হোটেলের সামনে একটি কাভার্ডভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে চালক রফিকুল ইসলামকে আটক করে। এরপর রফিকুলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক চালকের আসন ও পাশের সিটের নিচে বিশেষভাবে রাখা ৮৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার ও জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ। কক্সবাজার জেলার রামু থেকে ইয়াবা নিয় চট্টগ্রাম এসেছেন বলে আটক রফিকুল গোয়েন্দা পুলিশকে জানায়।

এর ঘটনায় পরের দিন ৭ মাস কোতোয়ালি থানায় আটক রফিকুলসহ পলাতক জামাল, রবিউল ইসলাম রাব্বি এবং আব্দুর রহমানকে এজাহারনামীয় আসামি করে একটি মামলা রুজু করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলার বিচার চলাকালে মোট ৮ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

এমডিআইএইচ/জেএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।