গুম-খুনের মামলা

তিন মামলার শুনানিতে ১৫ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে হাজির

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:২৪ এএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

গুম ও খুনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা তিন মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আজ। এদিন মামলায় গ্রেফতার ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এদিন কড়া নিরাপত্তায় তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

এর মধ্যে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেন্টারে (জেআইসি) গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেওয়ার কথা রয়েছে।

এছাড়া, রাজধানীর রামপুরায় ২৮ হত্যার ঘটনায় দুই সেনা কর্মকর্তাসহ চারজন এবং টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে গুমের অপর মামলায় শেখ হাসিনা ও ১০ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়েও শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি আদালত এ দিন ধার্য করে।

জেআইসিতে গুমের ঘটনায় প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষ হয়েছে। আর রামপুরায় হত্যাকাণ্ড ও টিএফআই সেলে গুমের ঘটনায় অভিযোগের বিরুদ্ধে এদিন আসামিপক্ষ শুনানি করবে। শুনানি উপলক্ষে এ তিন মামলার গ্রেফতার আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

টিএফআই সেলে গুমের ঘটনায় ১৭ আসামির মধ্যে ১০ জন গ্রেফতার হয়েছেন, তারা সেনা কর্মকর্তা। এই তালিকায় আছেন কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, কর্নেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, কর্নেল কে এম আজাদ, কর্নেল মো. কামরুল হাসান, কর্নেল মো. মাহাবুব আলম, কর্নেল মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল মোমেন, লেফটেনেন্ট কর্নেল মো. সারোয়ার বিন কাশেম, লেফটেনেন্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল ও লেফটেনেন্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।

পলাতক সাত আসামি হলেন পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশিদ হোসেন, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর-রশিদ এবং লেফটেনেন্ট কর্নেল মো. খায়রুল ইসলাম।

এছাড়া, জেআইসিতে গুমের ঘটনায় আসামি ১৩ জন। তারা হলেন শেখ হাসিনা, মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক, মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজহার সিদ্দিকী। এদের মধ্যে শেষোক্ত তিনজন গ্রেফতার হয়েছেন।

এই ৩০ জনের মধ্যে হাসিনা ও তারিক সিদ্দিকী দুটি মামলায় আসামি। ফলে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮।

রামপুরায় হত্যাকাণ্ডের মামলার চার আসামির মধ্যে গ্রেফতার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, ঘটনার সময় বিজিবিতে ছিলেন। বাকি দুই আসামি, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমান পলাতক।

এফএইচ/জেএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।