মৃত ব্যক্তির নামে মামলা : ব্যাখ্যা দিতে প্রস্তুত নয় বাদী


প্রকাশিত: ০২:৩১ পিএম, ২৩ মে ২০১৭

শিশু ও মৃত ব্যক্তির নামে কেন মামলা করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে মামলার বাদী হাবিবুর রহমান সাত দিনের সময় পেয়েছেন। সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৩০ মে তাকে সশরীরে আদালতে এসে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম এ আদেশ দেন। এদিন মামলার বাদী হাবিবুর রহমানের সশরীরে আদালতে এসে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য তিনি প্রস্তুত নন বলে আদালতে সময়ের আবেদন জমা দেন। আবেদনে বলা হয়, ‘আমি আদালতের আদেশ দুইদিন আগে পেয়েছি। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আমার সময়ের প্রয়োজন।’

তার এ আবেদন মঞ্জুর করে আদালত আগামী ৩০ মে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১৬ মে  শিশু ও মৃত ব্যক্তির নামে কেন মামলা করা হয়েছে, এ বিষয়ে সশরীরে আদালতে এসে ২৩ মে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন আদালত।

৯ মে রাজধানীর মিরপুর থানায় একটি চুরি ও মারামারি মামলার অভিযোগপত্রে রুবেল নামে ১১ মাসের শিশু ও মৃত আরিফুর রহমানের নাম কেন অভিযোগপত্রে দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম।

এর আগে আসামিপক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মামলার বাদীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামি রুবেল গত বছরের ৬ জুন জন্মগ্রহণ করে। অপরদিকে আরিফুর রহমান ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই মারা যান। ওই দুজনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৬ জুন মিরপুরের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান মামলা করেন।

মামলা দায়েরের সময় রুবেলের বয়স ছিল ২০ দিন এবং আরিফুর রহমান ঘটনার তিন বছর আগে মারা যান। ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুই ব্যক্তিসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

নবজাতকের বাবা আবুল কাশেম জাগো নিউজকে বলেন, আমার ছোট ছেলে রুবেল, যার বয়স ১১ মাস। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। ঘটনার সময় তার বয়স ছিল ২০ দিন। কীভাবে এতো ছোট বাচ্চা মারামারি আর চুরি করতে পারে?

তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রুবেলকে অভিযোগপত্রে ৩০ বছর দেখিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ১৪ মে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় চুরি ও মারামারির অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় ১১ মাসের শিশু এবং মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়ার অভিযোগে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মারুফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

একই সঙ্গে সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) কাজী মাহবুবুল আলম ও ওসি (তদন্ত) মো. সাজ্জাদ হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া মিরপুর জোনের ডিসি এবং এডিসিকে সতর্ক করা হয়েছে।

জেএ/এমএমএ/ওআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।