আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলা বিচারিক আদালতে পাঠানোর আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৪:০১ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ/ ফাইল ছবি

সব আইনি ধাপ সম্পন্ন শেষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলাটি বিচারিক আদালতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর ছিদ্দিকের আদালত মামলাটি পরবর্তী বিচারিক কার্যক্রমের জন্য চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো নির্দেশ দেন।

আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আলিফ হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম এখন মহানগর দায়রা জজ আদালতে অথবা ওই আদালত কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো আদালতে শুরু হবে। এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আইনজীবী আলিফের বাবা ও মামলার বাদী জামাল উদ্দিন।

চার্জশিট অনুযায়ী মামলায় মোট ৩৯ জন আসামির মধ্যে ১৭ জন এখনো পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা, হুলিয়া ও ক্রোকি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।

চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন: চন্দন দাশ, রিপন দাশ, রাজীব ভট্টাচার্য্য, শুভ কান্তি দাশ, আমান দাশ, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত প্রকাশ দাস, রুমিত দাস, নয়ন দাশ, ওমকার দাশ, বিশাল, লালা দাশ, সামীর, সোহেল দাশ, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, লালা মেথর, দুর্লভ দাস, সুমিত দাশ, সনু দাস, সকু দাস, ভাজন, আশিক, শাহিত, শিবা দাস ও দ্বীপ দাস।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে নগরের কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্তে নতুন আসামির সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় মামলার পরিধি বাড়ে।

২০২৫ সালের ১ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, তৎকালীন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এতে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ মোট ৩৯ জনকে আসামি করা হয়।

এর আগে ২৫ আগস্ট তৎকালীন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদের আদালত চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতা শুনানি শেষে ৩৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন। তদন্তে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় এজাহারভুক্ত তিনজনকে অব্যাহতির আবেদন করা হলেও নতুন করে আরও ১০ জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় দ্রুত ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছেন নিহত আইনজীবীর পরিবার ও সহকর্মীরা।

এমআরএএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।