গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন শফিকুল আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:২২ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা মাদক আইনের মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ।

সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তাকে হাজির করে তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই পলাশ হোসেন একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদে মামলা-সংক্রান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন শফিকুল আলম ফিরোজ, যা তদন্তের স্বার্থে গোপন রেখে যাচাই-বাছাই হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘শফিকুল আলম ফিরোজ জামিন পেলে পলাতক হতে পারেন বিধায় তার জামিনের বিরোধিতা করছি।’

গত ২১ সেপ্টেম্বর অস্ত্র ও হলুদ রঙের ইয়াবাসহ গ্রেফতার রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

ওইদিন ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদ আক্তার শুনানি শেষে অস্ত্র মামলায় পাঁচদিন ও মাদক আইনে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।

এর আগে ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক দুই মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অন্যদিকে র‌্যাব বাদী হয়ে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে। অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া মামলার নম্বর ২০(৯)১৯ ও মাদক আইনে দায়ের হওয়া মামলার নম্বর ২১ (৯)১৯।

firoj

গত শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে শফিকুল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবে অভিযান চালায় র‌্যাব।

অভিযান শেষে রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক আশিক বিল্লাল জানান, অভিযানের সময় শফিকুলের কাছে সাত প্যাকেট হলুদ রঙের ইয়াবা পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এ ধরনের ইয়াবা পাওয়া যায়নি। এ ইয়াবায় কোনো প্রকার গন্ধ নেই। এটা নতুন আবিষ্কার।

তিনি আরও বলেন, অভিযানে একটা বিদেশি পিস্তলসহ তিন রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি ক্যাসিনোতে খেলার কয়েন, স্কোরবোর্ড ও ৫৭২ প্যাকেট তাস উদ্ধার করা হয়েছে। কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের যেসব জিনিসপত্র পাওয়া গেছে ধারণা করা হচ্ছে আগে এ ক্লাবে ক্যাসিনো খেলা হতো।

উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র‌্যাবের হাতে আটক হন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

সম্প্রতি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতার বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরই ছাত্রলীগের পদ হারান শোভন-রাব্বানী। এরপর আটক হন খালেদ। শুক্রবার যুবলীগের অপর আলোচিত নেতা জি কে শামীমকে নিকেতনের নিজ কার্যালয় থেকে আটক করা হয়।

শামীমের সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীকেও আটক করা হয়। পরে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। অভিযানে বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত)। এর মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকা ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে।

জেএ/এমএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।