পৌনে ৩০০ কোটি টাকা আয়ের বৈধ উৎস নেই, প্রশান্ত কুমারের নামে মামলা
![পৌনে ৩০০ কোটি টাকা আয়ের বৈধ উৎস নেই, প্রশান্ত কুমারের নামে মামলা](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/proshanta-20200108191845.jpg)
অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে পৌনে ৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। সংস্থার জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রশান্ত কুমার অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানা এলাকায় ৫৮৯ শতক জমি কিনেছেন, কিন্তু আয়ের কোনো উৎস দেখাতে পারেননি। বেনামে ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা রেপটাইলস নামে একটি ফার্মে বিনিয়োগ করেছেন।
প্রশান্ত কুমার নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিতে ৩৩ লাখ টাকা, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, আজিজ ফেব্রিক্স লিমিটেডে ৬৩ লাখ টাকা, আনান কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজে চার কোটি ৯০ লাখ টাকা, একইভাবে ক্লীউইস্টন ফুড অ্যান্ড অ্যাকোমোডেশনে ৩১ কোটি ৪৫ লাখ ২৬ হাজার ৪০০ টাকা, রহমান কেমিক্যালে ৭০ লাখ টাকা বেনামে বিনিয়োগ করেন।
লিপরো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও পিঅ্যান্ডএল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানিতে প্রশান্ত কুমার হালদারের ১২৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকার সম্পত্তি রয়েছে, যা তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন।
প্রশান্ত কুমার কয়েকটি ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় এসব টাকা উপার্জন করেন। এসব টাকা আয়ের কোনো বৈধ উৎস নেই উল্লেখ করে তা প্রশান্ত কুমার হালদারের অবৈধ সম্পদ বলে মামলায় বলা হয়।
এফএইচ/এসআর/পিআর