ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের সনদ বাতিলে বার কাউন্সিলে আবেদন

ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের আইনজীবী সনদ বাতিল ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের অপর এক আইনজীবী।
পেশাগত অসদাচরণ ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সুনির্দিষ্ট অর্ডার অ্যান্ড রুলস লঙ্ঘন করে আইনজীবী সনদ বহাল রেখে সরকারি চাকরির অভিযোগে মঙ্গলবার বার কাউন্সিল বরাবর এ আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম জুলফিকার আলী।
আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জুলফিকার আলী বলেন, দ্য বাংলাদশ লিগ্যাল প্র্যাক্টিশনার অ্যান্ড বার কাউন্সিল অর্ডার অ্যান্ড রুলস, ১৯৭২ এর চতুর্থ অধ্যায়ের ৮ ধারা অনুযায়ী কোনো আইনজীবী সনদ বহাল থাকা অবস্থায় অন্য কোনো প্রকার পেশা কিংবা ব্যবসা অথবা সরকারি চাকরিসহ অন্য কোনো চাকরি করতে পারবেন না। তবে, তিনি যদি চাকরি করতে চান সেক্ষেত্রে তার আইনজীবী সনদ ও সমিতির সদস্যপদ স্থগিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল আইনজীবী সনদ ও সমিতির সদস্যপদ স্থগিত না করেই অন্য চাকরি করেছেন এজন্য তথ্য গোপন/পেশাগত অসদাচরণের দায়ে তার আইনজীবী সনদ বাতিলসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বার কাউন্সিলে আবেদন করেছি।
আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল (সদস্য নম্বর- ২১২৪, সদস্য পদ গ্রহণের তারিখ- ১২-১২-১৯৯৬, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে হাইকোর্ট পারমিশন প্রাপ্তির তারিখ- ০৭-০২-১৯৯৬) বার কাউন্সিলের সুনির্দিষ্ট অর্ডার অ্যান্ড রুলস লঙ্ঘন করে আইনজীবী সনদ বহাল থাকা অবস্থায় বিগত বিএনপি সরকারের আমলে ২০০৪ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি চাকরি গ্রহণ করে যুক্তরাজ্যের লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে একজন কূটনৈতিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সরকারি একজন চাকরিজীবী হিসেবে সরকারের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ও বেতন-ভাতা ভোগ করেছেন। কিন্তু তিনি একজন আইনজীবী হিসেবে আইনজীবী সনদ ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ বহাল রেখে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অর্ডার অ্যান্ড রুলসের সুনির্দিষ্ট রুলস অ্যান্ড অর্ডার লঙ্ঘন করেছেন।
বার কাউন্সিল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির তথ্য মতে, রুহুল কুদ্দুস কাজল ১৯৯৬ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে পেশায় আছেন। এই সময়ের মধ্যে রুহুল কুদ্দুস কাজল একজন আইনজীবী হিসেবে কোনোভাবেই সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকতে পারেন না। তথ্য গোপন ও পেশাগত অসদাচারণের দায়ে রুহুল কুদ্দুস কাজলের আইনজীবী সনদ বাতিল ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন জুলফিকার আলী।
তিনি বলেন, বার কাউন্সিলে আমি অভিযোগ জমা দিয়েছি। আশা করি, তারা তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, যারা এটা করেছেন তারা ইতোপূর্বেও বিভিন্ন জায়গায় এই অভিযোগ করেছেন। এটা এমন কিছু নয়। এটা করে তারা আমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
এফএইচ/জেএইচ/পিআর