আদালত খোলা নিয়ে বিচারকদের সঙ্গে বসছেন প্রধান বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০২ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০২০

স্বল্প পরিসরে হোক কিংবা যে কোনো আবরণে হোক দেশের সর্বোচ্চ আদালত খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) সভাপতি ও সম্পাদক। মানুষের মৌলিক ও আইনি অধিকার রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টের দরজা খোলা চান তারা।

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারি আদেশের সঙ্গে মিল রেখে আদালত অঙ্গনও বন্ধ রয়েছে। তবে কেবল জরুরি প্রয়োজনে প্রত্যেক জেলায় একটি করে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট খোলা রয়েছে।

এ অবস্থায় মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় স্বল্প পরিসরে হলেও আদালত খুলতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অন্য বিচারপতিদের (ব্রাদার জজ) সঙ্গে বসে এ বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক আলোচনায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ থাকায় আমাদের কিছু সমস্যা হচ্ছে। যেমন যারা জেলে আছেন তাদের তো সমস্যা হচ্ছে। বর্তমান সমস্যার আগে যারা গ্রেফতার হয়েছিলেন, ছোটখাটো অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিলেন, তাদের মামলাগুলোর শুনানি হচ্ছে না। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট যদি তাদের রিফিউজ করে, তখন তাদের কোনো উপায় থাকছে না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট খোলা থাকলে তাদের এই সমস্যায় পড়তে হতো না। কারণ, প্রত্যেক মানুষের অধিকার আছে জামিনে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করা। সে অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কোর্ট চালু করতে গেলেও কিছু সমস্যা রয়েছে উল্লেখ করে আমিন উদ্দিন বলেন, ভিডিও কনফারেন্সে বিদ্যমান ব্যবস্থায় কোর্ট চালু করা সম্ভব না। কারণ, হাইকোর্ট রুলসে আছে, দরখাস্ত জমা দিতে হবে। তারপর মামলাটি আদালতের কার্যতালিকায় আসবে। তারপর শুনানি করতে হবে। কিন্তু এ বিষয়গুলো করলে, লোক সমাগম হবে। আর লোক সমাগম হলে, কোনো কারণে যদি ভাইরাস ছড়ায়, তাহলে তো সবার জন্য ক্ষতিকর হবে। এসব বিষয় বিবেচনা করে, আমি প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করেছি স্বল্প পরিসরে আদালত খোলার জন্য। আশা করি, উনি একটা ব্যবস্থা করবেন।

তিনি আরও বলেন, আমি যেটা মনে করি, ডেফিনেটলি যত ছোট হোক, যে কোনো আবরণে হোক, কোর্ট খোলা রেখে মানুষের যে অধিকার সেটা তারা যেন আদায় করতে পারে, তারা যেন আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে অর্থাৎ দরজাটা খুলে দেয়া, মানুষ যেন খোলা দরজা পায়।

এসব বিষয় নিয়ে প্রধান বিচারপতিকে জানিয়েছেন উল্লেখ করে এ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, আমিও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, তার ব্রাদার জজদের সঙ্গে কথা বলবেন। আমি অনুরোধ করেছি, যে কোনোভাবে হোক আদালতকে একটু কার্যকর করার।

এ বিষয়ে বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, প্রধান বিচারপতিকে বলেছি, তিনি যদি জনসমাগম এড়াতে চান তাহলে আমরা আইনজীবীরা একটা নির্দিষ্ট জায়গায় জামিনের দরখাস্ত কিংবা জরুরি পিটিশন জমা দিয়ে আসব। আপনি সেগুলো সংশ্লিষ্ট বিচারককে দেন, তিনি মামলার গুরুত্ব কিংবা জরুরি বিষয় বিবেচনা করবেন।

তিনি আরও বলেন, আমি প্রধান বিচারপতিকে বলেছি, আপনি যে কোনো ফর্মে আদালত খুলে দেন। আমরা আইনজীবীরা নিজ দায়িত্বে পিটিশনে সাইন করব। এটার দায়-দায়িত্ব আমরা নেব।

এফএইচ/জেডএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।