আপিলেট ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট ড. কামালের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২৯ এএম, ০৫ জুন ২০২২
ড. কামাল হোসেন/ফাইল ছবি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩৫১ টাকা ট্যাক্স দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আপিলেট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করেছেন আইনজীবী ড. কামাল হোসেন।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করা হয়। বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এটি শুনানির জন্য রোববারের কার্য তালিকার (কজলিস্টের) দুই নম্বরে রয়েছে।

রিটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ড. কামাল হোসেনের জুনিয়র আইনজীবী তানিম হোসেন শাওন। তিনি বলেন, আপিলেট ট্রাইব্যুনালের খারিজাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেছি। রিটটি শুনানির জন্য তালিকায় আছে।

রিট সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ড. কামাল হোসেন ১ কোটি ৪ লাখ ৩ হাজার ৪৯৫ টাকা আয় দেখিয়ে রিটার্ন দাখিল করেন। কিন্তু এনবিআর ২০ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজা ৩১৫ টাকা ট্যাক্স এবং সুদ ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৪ টাকা দাবি করে।

রাজস্ব বোর্ডের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলেট ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন ড. কামাল হোসেন। ট্রাইব্যুনাল তার আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।

২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর ড. কামালের আয়কর রিটার্নের বিষয়ে জানতে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সেই চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা কর অঞ্চল ৮ এর একজন করদাতা ড. কামাল হোসেন। বিভিন্ন করবর্ষে তিনি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় দুটি, সিটি সেন্টারে দুটি (যার একটি ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট) এবং আইএফআইসি ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্টসহ মোট পাঁচটি অ্যাকাউন্টে জমা টাকার ওপর কর পরিশোধ করেছেন। তবে কর গোয়েন্দারা ওই আইনজীবীর নামে এমন একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পান যেটিতে জমা করা টাকার ওপর তিনি কোনো কর পরিশোধ করেননি। এমনকি ওই অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে এনবিআরে কোনো তথ্যও দেননি।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ওই সম্পদ গোপন করে কর ফাঁকির দায়ে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।

এফএইচ/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।