মানবতাবিরোধী অপরাধ
ময়মনসিংহের ১০ জনের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্য ১১ মে

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন সংঘটিত হত্যা ও গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ফুলপুরের ১০ জনের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ ও ১৫তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে আরও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১১ মে পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শুকুর আলী খান ও অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
এ মামলায় মোট আসামি ১১ জন হলেও গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন পাঁচজন। তারা হলেন- ময়মনসিংহের ফুলপুর ইউনিয়নের পূর্ববাখাই গ্রামের মৃত আছর আলীর ছেলে ওমেদ আলী, অসিমুদ্দিনের ছেলে আবু বকর সিদ্দিক, বনগাঁও গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে আবদুল খালেক, বালিয়া ইউনিয়নের বড়ইকান্দি গ্রামের মৃত কাজী সৈয়দ লুৎফর রহমানের ছেলে সৈয়দ বদিউর রহমান বনু ও ভাইটকান্দি ইউনিয়নের দারুয়ারী গ্রামের মৃত তরিফ উদ্দিন ওরফে তরিফ সরকারের ছেলে আব্দুর রশিদ সরকার।
আসামিদের মধ্যে গিয়াসউদ্দিন খান নামের একজন মারা গেছেন। তিনি উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের মইসাউন্দা গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন খানের ছেলে।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১১ জন। তাদের মধ্যে গিয়াসউদ্দিন নামের একজন মারা গেছেন। কারাগারে আছেন পাঁচজন। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষীর জবানবন্দির জন্য আগামী ১১ মে দিন ঠিক করেছেন আদালত।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা ও নারীদের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগে সহযোগিতা ও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এফএইচ/এমকেআর/এএসএম