ডিআইজি মিজানসহ চারজনের মামলার যুক্তি উপস্থাপন ৫ জুন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৮ পিএম, ৩১ মে ২০২৩
সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান/ ফাইল ছবি

সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ৫ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করে।

বুধবার (৩১ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর মঞ্জুরুল ইমাম এ দিন ধার্য করেন। এদিন মিজানুর রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন করেন। ডিআইজি মিজানের ছোটভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগনে মাহমুদুল হাসান পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় আগামী ৫ জুন দিন ধার্য করেন আদালত। যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করবেন আদালত। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছেন।

এদিন আসামি ডিআইজি মিজানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা ডিআইজি মিজানের ছোটভাই মাহবুবুর রহমান ও তার ভাগনে মাহমুদুল হাসানকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না শুরু থেকে পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

২০২০ সালের ১ জুলাই আগাম জামিনের জন্য গেলে ডিআইজি মিজানকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ। মিজানকে তাৎক্ষণিক পুলিশের হাতে তুলে দেন আদালত। গ্রেফতারের পর তাকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। ওই বছরের ২ জুলাই মিজানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।

মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া এক সংবাদপাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।

এরপর দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুস লেনদেনের বিষয়টি সামনে আসার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ডিআইজি মিজানকে সাময়িক বরখাস্তের একটি প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। ওই বছরের ২৫ জুন মিজানুরকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি।

২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি মিজান ছাড়া চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ওরফে রত্না রহমান, ছোটভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগনে মাহমুদুল হাসান।

২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আসিফুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জন সাক্ষ্য দেন।

জেএ/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।