শ্রম আইন লঙ্ঘন

ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ২৬ নভেম্বর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪৪ এএম, ২১ নভেম্বর ২০২৩

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে আংশিক যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অসমাপ্ত থাকায় আগামী ২৬ নভেম্বর পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (২০ নভেম্বর) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূস চতুর্থ বারের মতো শ্রম আদালতে হাজির হন। তার বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শুনানিতে অংশ নিতে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালতে হাজির হন। দুপুর ১টা থেকে ড. ইউনূসের মামলার শুনানি শুরু হয়। এরপর দুপুর ২টায় আদালত বিরতিতে যান। বিকেল ৩টা ১০ মিনিট থেকে আবারও আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে ড. ইউনূসের পক্ষে আবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শুনানি হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত আদালতের কার্যক্রম চলে। ৫টা পর্যন্ত আদালতে অবস্থান করেন তিনি। আদালতে অবস্থানকালে ড. ইউনূস মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শোনেন। আদালতের কার্যক্রম শেষ হলে ড. ইউনূস আইনজীবীদের সঙ্গে বেরিয়ে আসেন।

এর আগে গত ১৬ নভেম্বর ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে বাদীপক্ষে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। আর ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ ও অ্যাডভোকেট এসএম মিজানুর রহমান।

গত ৬ নভেম্বর এ মামলার বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ওইদিন আদালত ৯ নভেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ এ মামলার চার আসামির ফৌজদারী কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখার দিন রাখেন।

গত ২ নভেম্বর এ মামলায় চতুর্থ সাক্ষী মো. মিজানুর রহমান আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর ৬ নভেম্বর তাকে আসামিপক্ষ জেরা করেন। এর আগে গত ২৬ অক্টোবর তৃতীয় এবং ১৮ অক্টোবর এ মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী হাদিউজ্জামানের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। গত ১১ অক্টোবর মামলার বাদি শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলামকে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদি হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদি করা হয়েছে।

এফএইচ/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।