রুল খারিজ, নোয়াখালী-১ আসনের নতুন সীমানা বৈধ
নোয়াখালী-১ সংসদীয় আসনের সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নকে নোয়াখালী-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করে প্রকাশিত গেজেট কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আবেদনকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি ওই আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান (জামান)। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. মুহাম্মদ ইয়াসিন খান।
নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্যসহ তিনজনের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১১ জুলাই এ সংক্রান্ত বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
তিন রিটকারী হলেন, নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম. ইকবাল হোসাইন চৌধুরী ও বজরা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী।
রিটের পর মাহবুব উদ্দিন খোকন ১১ জুলাই সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, নোয়াখালী-১ জাতীয় সংসদের ২৬৮ নম্বর সংসদীয় আসন। চাটখিল উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা, সোনাইমুড়ী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই সীমানায় সেখানে নির্বাচন হয়। কিন্তু এবার বজরা ইউনিয়নকে নোয়াখালী-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করে সীমানা গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
এফএইচ/এমকেআর/এমএস
