শাহদীন মালিকের উদ্দেশ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল

সুপ্রিম কোর্টকে ‌ক্যান্টনমেন্টের সঙ্গে তুলনা করে ক্ষতি করছেন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০৩ এএম, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩

‘সুপ্রিম কোর্টটা মোটামুটি ক্যান্টনমেন্ট হয়ে গেছে’ এমন মন্তব্য করে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহাদনি মালিক আদালতকে ম্যালাইন (ক্ষতিকর) করছেন বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।

অনেকেই আদালতকে ম্যালাইন করার চেষ্টা করছেন, ওনিও (শাহদীন মালিক) সেই দলে নাম লেখালেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) অ্যাটর্নি জেনারেল তার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, এখানে ওনার (শাহদীন মালিক) অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে। এটা ওনি ভালো উদ্দেশ্য বলেন নাই।

সম্প্রতি রাজধানীতে মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি আয়োজিত ‘আবারো সাজানো নির্বাচন: নাগরিক উৎকণ্ঠা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে ড. শাহদীন মালিক সুপ্রিমকোর্টকে ক্যান্টনমেন্ট বলে মন্তব্য করেন।

ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘গেটে পুলিশ গাড়ি থামালো। আমাকে কাচ নামাতে বললো। কোর্টের ড্রেস পড়া ছিলাম, ব্যান্ড ছিল, কালো কোট ছিল। গাড়িতে পার্কিং স্টিকারও আছে। আমি তাদের বললাম, আমি যদ্দুর জানি আমি বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টে এসেছি, আমি তো ক্যান্টনমেন্টে আসিনি। ক্যান্টনমেন্টে গেলে গাড়ি থামিয়ে চেক করবে, জিজ্ঞাসা করতে পারে। আমি তো সুপ্রিমকোর্টে এসেছি। গত কয়েকদিনে প্রত্যেক দিন গাড়ি থামিয়েছে। আর যারা মোটরসাইকেল নিয়ে যায় তাদের তো সব দেখাতে হয়। কালকে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে দেখলাম লোকজন অনেক কমে গেছে। ন্যায় বিচারের একমাত্র গ্যারান্টি হলো এটা হবে ওপেন প্রসেসে। এখন সুপ্রিমকোর্টে ঢুকতে যদি আমাকে কার্ড দেখাতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কি অবস্থা। আমি বলবো সুপ্রিমকোর্টটা মোটামুটি ক্যান্টনমেন্ট হয়ে গেছে।’

ড. শাহদীন মালিকের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবী অভিযোগ তুলেছেন, তিনি যখন গেট দিয়ে ঢুকছিলেন তখন তাকে তল্লাশি করা হয়েছে। তিনি গাউন পড়া ছিলেন তারপরও তাকে তল্লাশি করা হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই, ৩১ অক্টোবর সুপ্রিমকোর্টে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি নিয়ে একটা সভা হয়, সেখানে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এরমধ্যে একটি ছিল, আইনজীবী সমিতির স্টিকার ব্যতিত কোনো গাড়ি সুপ্রিমকোর্টে ঢুকতে পারবে না।

তাহলে প্রথম কথা হচ্ছে, আইনজীবী সমিতির সদস্য হিসেবে ওনার গাড়িতে কি স্টিকার লাগানো ছিল? অবশ্যই ছিল না। স্টিকার লাগানো থাকলে অবশ্যই চেক করা হতো না।

দ্বিতীয় কথা হচ্ছে কোন কোন গেট দিয়ে ঢুকতে পারবো, কোনটা দিয়ে পারবো না, কোন গেট বেলা ১১ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে, কোনটা বন্ধ থাকবে, কোনটা সারাদিন খোলা থাকবে তা বলা আছে। প্রবেশের ক্ষেত্রে তল্লাশি করা হবে সেটাও স্পষ্ট করে লেখা আছে।

তিনি বলেন, শুধু আমরা না, প্রতিবেশি দেশ ভারত পাকিস্তানসহ বিশ্বের যে কোনো দেশের পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্ট সঙ্গে রাখার জন্য বলা গেলো। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি কর্তৃক সরবরাহকৃত নির্ধারিত স্টিকার ছাড়া গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলো। অন্যথায় অবৈধ অনুপ্রবেশকারী গণ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৩১ অক্টোবর সুপ্রিমকোর্টে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো নিয়ে বৈঠক করে সুপ্রিমকোর্টে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ কমিটি। ওই বৈঠকে সুপ্রিমকোর্ট অঙ্গনে প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এফএইচ/এসএনআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।