জাম খাওয়ার সময় যে ৫ বিষয়ে সাবধান থাকবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৭ পিএম, ১৬ জুন ২০২৫

গ্রীষ্মে অল্প কিছুদিনের জন্য পাওয়া যায় জাম। সুস্বাদু এই ফলটি খেতে শুরু করলে যেন থামাই কঠিন হয়ে পড়ে। স্বাদের সঙ্গে জামে থাকা বিভিন্ন গুণাগুণ দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া এতে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য।

এমনকি জামে থাকা আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ উপদান হাড় ও দাঁত মজবুত করে। এছাড়া ক্যানসার প্রতিরোধ, রক্ত পরিশোধন, বিভিন্ন সংক্রমণ রোধেও সাহায্য করে জাম। এত সব গুণাগুণ থাকার পরও এই ফল বেশি খেলে শরীর খারাপ করতে পারে। তবে শুধু বেশি খাওয়া নয়, জামের আগে-পরে কী খাচ্ছেন, সেদিনেও খেয়াল রাখা দরকার।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি শটস–এ পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, জাম খাওয়ার সময় কোন ৫টি ভুল থেকে সাবধান থাকতে হবে-

১. জাম খাওয়ার পর পানি পান করবেন না

জাম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বা খাওয়ার পরপরই পানি পান করলে হজমে সমস্যা হতে পারে। তাই জাম খাওয়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর পানি পান করুন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জামের খাওয়ার সময় যে ৫ বিষয়ে সাবধান থাকবেন

২. জাম ও হলুদের বিপজ্জনক জুটি

জাম খাওয়ার সঙ্গে হলুদ একসঙ্গে গ্রহণ করা শরীরের জন্য মারাত্মক হতে পারে। হলুদের কারকুমিন ও জামের অম্লতা পেটে গ্যাস, বদহজম বা অ্যাসিডিটি তৈরি করতে পারে। জাম ও হলুদ, দুটিই রক্ত পাতলা করতে সাহায্য করে, তাই যারা ব্লাড থিনার খান তাদের জন্য রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ে। এসব সমস্যা এড়াতে পুষ্টিবিদরা জাম খাওয়ার পর হলুদযুক্ত যেকোনো খাবার এড়িয়ে চলতে বলেন।

৩. খালি পেটে জাম নয়

সকালে খালি পেটে জাম খেলে গ্যাস্ট্রিক, অম্বল ও হজমজনিত সমস্যা হতে পারে। তাই ভরাপেটে জাম খাওয়াই ভালো।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৪. জাম খাওয়ার পর দুগ্ধজাত খাবার খাবেন না

জাম খাওয়ার পর দুধ, দই বা পনির জাতীয় দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। জাম খাওয়ার পর দুধ বা দই খেলে কিছু মানুষের হজমে সমস্যা হতে পারে। জামে থাকা ট্যানিন ও অ্যাসিডিক উপাদান দুধের প্রোটিনের সাথে বিক্রিয়া করে পেটে ভারীভাব, গ্যাস বা অ্যাসিডিটি তৈরি করতে পারে। দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড জামের অম্লতার সাথে মিশে পেট ফাঁপা বা ডায়রিয়াও ঘটাতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে জামের ট্যানিন দুধের ক্যালসিয়াম ও আয়রন শোষণে বাধা দেয়। তবে এগুলো সাধারণত মৃদু ও ব্যক্তিভেদে হয়। যাদের পাকস্থলী সংবেদনশীল বা ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা আছে, তাদের এড়ানো উচিত। সমস্যা এড়াতে জাম ও দুধের মধ্যে ৩০-৬০ মিনিট ব্যবধান রাখা ভালো। আয়ুর্বেদে এই সংমিশ্রণ না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

জামের খাওয়ার সময় যে ৫ বিষয়ে সাবধান থাকবেন

৫. আচারের সঙ্গে জাম মানেই বিপদ

অনেকে খাওয়ার সঙ্গে আচার খেতে অভ্যস্ত, কিন্তু জাম খাওয়ার পর আচারের মতো টক বা মসলাযুক্ত খাবার গ্রহণ শরীরে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে দেখা দিতে পারে অম্বল ও বদহজম।

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

জাম খাওয়ার সময় অনেকেই এই ভুলগুলো করে ফেলেন। এসব ভুলের ফলে হতে পারে গ্যাস্ট্রিক, অম্বল থেকে শুরু করে গুরুতর পেটের অসুস্থতা। তাই জাম খাওয়ার সময় এই সাধারণ সতর্কতাগুলো মেনে চললেই বিনা ভোগান্তিতে উপভোগ করা যাবে এর পুষ্টিগুণ।

এএমপি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।