ডিসেম্বর সবার কাছে কেন প্রিয়?

বছরের শেষ মাস হলো ডিসেম্বর। বাঙালির কাছে বিশেষ এক মাস এটি। কারণ ডিসেম্বর মাসেই বিজয় দিবস পালিত হয় দেশজুড়ে। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অপরিসীম আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ।
প্রতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর দেশজুড়ে সরকারি ছুটি পালিত হয়। শুধু বাঙালির কাছেই নয়, বরং বিশ্ববাসীর মনেও এ মাস নিয়ে আনন্দ ও ভালোলাগা কাজ করে।
কারণ ক্রিসমাস ও নতুন বছর বরণ করে নেওয়ার উৎসব ‘থার্টি ফাস্ট নাইটও’ উদযাপন করা হয় এ মাসেই। সব মিলিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানোর সবচেয়ে উত্তম মাস হলো ডিসেম্বর।
সবার মনেই এ মাস নিয়ে আনন্দ ও ভালোলাগা কাজ করে। কারণ ডিসম্বরে সবাই ছুটির আনন্দে থাকেন। ছোট থেকে বড় সবাই হৈ-হুল্লোড় ও আনন্দে সময় কাটান বছরের শেষ সময়ে।
তাই তো বছর শেষে পরিবার-পরিজন নিয়ে সবাই ঘুরতে যান। অনেকেই বছরের এই শেষ সময়ের জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন। প্রিয়জনের কাছে এমনকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর মধ্য দিয়ে এ মাসটি সবাই উপভোগ করেন।
এই মাস জুড়ে নানা অনুষ্ঠান, পিকনিক, আয়োজন, উৎসব, বিয়ে ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। আর উৎসব-অনুষ্ঠানে ভালোবাসার বন্ধন আরও মজবুত হয়।
প্রকৃতিও ডিসেম্বর মাসে ঠান্ডা হয়ে ওঠে। যা প্রিয়জনকে আরও কাছে পাওয়ার তৃষ্ণা যোগায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে নারী ও পুরুষের হরমোনের পরিবর্তন ঘটে।
তাই এ সময় নারী-পুরুষ একে অপরের কাছাকাছি থাকতে চান। এ সময় দম্পতিরা একান্তে সময় কাটাতে দেশে-বিদেশে ঘুরতে বের হন। যা সারা বছর মনে রাখার মতো হয়ে থাকে।
এ ছাড়াও শীতে শরীর গরম রাখতে আমরা বিভিন্ন খাবার খেয়ে থাকি। বিশেষ করে চকলেট ছোট-বড় সবারই খাওয়া হয়। বড়দিন ও নববর্ষ উদযাপন চকলেট ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না।
এসব জিনিস খাওয়ার পর সরাসরি প্রভাব আমাদের মস্তিষ্কে। ফলে মেজাজে পরিবর্তন ঘটে। এ সময় রোমান্টিকতা কাজ করে নারী-পুরুষের মনে। এমনকি ডিসেম্বরের ঠান্ডা আবহাওয়াও দম্পতির মেজাজকে আরও রোমান্টিক করে তোলে।
জেএমএস/এমএস