আদর না শাসন!


প্রকাশিত: ০৭:৩৭ এএম, ১৫ মার্চ ২০১৫

শিশুকে শৃঙ্খলায় আনতে হলে প্রথমে তার মনোভাব বুঝতে হবে। সব শিশুকে একই উপায়ে শাসন করা যায় না। আর আপনি যদি শিশুকে শুধুই শাসন করতে যান, শিশুর কিন্তু আপনার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হতে পারে। শাসন নিশ্চয় করবেন তবে তার থেকেও জরুরি হলো শিশুকে আদর করা। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়, না আদর, না শাসন। তাই শিশুকে শৃঙ্খলে আনার মূল মন্ত্রই হলো আদর এবং শাসনের সঠিক ব্যালেন্স।

শিশুর মধ্যে ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য এবং তাকে শৃঙ্খলাবোধ শেখানোর জন্য মৌখিক নির্দেশের থেকেও বেশি জরুরি বড়দের নিজেদের আচরণ। শিশুরা সাধারণত বাড়ির বড়দের দেখেই শেখে। সে ক্ষেত্রে শিশুদের কিছু শেখানোর আগে দেখে নিতে হবে যে নিজেদের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনা প্রয়োজন কি না।

ছোট ছোট আচরণ, যেমন—সময়ের কাজ সময়ে করা, জামাকাপড় ছেড়ে ভাঁজ করে রাখা, ঘর থেকে বেরোনোর আগে আলো-পাখা বন্ধ করা, খাবার নষ্ট না করা ইত্যাদি শিশুর সুঅভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

শিশুকে শৃঙ্খলা শেখানোর বা শাসন করার কোনো নির্দিষ্ট পদ্ধতি নেই। আপনাকে প্রথমে শিশুর সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশতে হবে। তার সমস্ত কথা মন দিয়ে শুনতে হবে। তবেই আপনি শিশুকে পুরোপুরি বুঝতে পারবেন। আসল কথা হলো, শিশুকে ভালোমন্দ শেখানো। শিশুকে তার দায়িত্ব বুঝতে দিন।

অনেক সময় মা-বাবারা শাসন করতে গিয়ে সন্তানের সঙ্গে অতিরিক্ত কঠোর হয়ে পড়ে। তাদের মনে রাখতে হবে শাসন করা মানেই কিন্তু কঠোর মনোভাব পোষণ করতে হবে তার কোনো মানে নেই। উল্টো যদি আপনি আদর করে ওকে সঠিক বেঠিকের পার্থক্য শেখান, তা হলে সন্তান অনেক তাড়াতাড়ি বুঝে যাবে।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।