মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রনে করণীয়
মানুষের জীবনে মানসিক চাপ থাকবে এটা একটা চিরচারিত ব্যাপার কিন্তু যখন এই চাপ সামলানো কঠিন হয় তখনই আমাদের মাঝে এই চাপ নিয়ন্ত্রনের প্রয়োজন হয়। তাই আসুন জেনে নেই অতিরিক্ত মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রনে কিছু করনীয়-
১. মানসিক চাপ কমাতে পটাশিয়ামের ভূমিকা অপরিসীম। কলা এবং আলুতে পটাশিয়াম রয়েছে প্রচুর, তাই মানসিক চাপ কমাতে কলা এবং আলু খাওয়া উচিত।
২. ঘরে প্রাণি পোষাটাও মানসিক চাপ কমাতে বেশ সাহায্য করে। যেমন বিড়াল, খরগোশ, অথবা এক্যুরিয়ামে মাছ পুষতে পারেন, এতে করে পোষ্য প্রানীর সাথে সময় কাটাতে কাটাতে নিজের হতাশার কথা ভুলে গিয়ে কিছুক্ষণের জন্যে মানসিক চাপ কমানো সম্ভব।
৩. কবিতা বা নিজে নিজে গান গাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কবিতা মানুষের মনে এক চিলতে প্রশান্তি এনে দিতে প্রচন্ড ভাবে কাজ করে থাকে। নিজের মানসিক চাপ কমাতে অনেক বেশি কার্যকর নিজের পছন্দের জিনিসগুলোই। যখন খুব বেশি অসহ্য মনে হতে থাকবে সবকিছু তখন জোরে জোরে নিজেকে শুনিয়ে পছন্দের গান বা কবিতা আবৃতি করুন।
৪. খুব বেশি ছেলেমানুষি হয়ে গেলেও যে পদ্ধতিটা কার্যকরী তা করলেই বুঝবেন। যে বিষয়টা নিয়ে মানসিক চাপে ভুগছেন তাকে মনে মনে একটু আচ্ছা মতো বকে নিন, এবং নিজের খুঁতগুলো বের করুন দেখবেন মানসিক চাপ অনেকটাই কমে এসেছে।
৫. যোগ ব্যায়াম মানসিক শান্তিতে প্রচুর কাজে দেয়। পৃথিবীর বহু নামি-দামি তারকা ও ব্যাক্তিগন এই পন্থায় নিজেদের মানসিক সুস্থতা বজায় রেখে এসেছেন। মাত্র ৫ মিনিটের যোগ ব্যায়াম মানসিক প্রশান্তি আনার জন্য যথেষ্ট। নিরিবিলি জায়গা খুঁজে ৫ মিনিটের জন্য বসে যান যোগ ব্যায়ামে। মানসিক চাপ দূরে পালাবে।
৬. চিৎকার চেঁচামেচিও পারে আপনার মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে, মনের কষ্ট দূর করার জন্যে একটু আপন মনে চিৎকার দেয়াই যেতে পারে। বলুন তো ভয়ের কোনো রাইডে উঠলে মানুষ চিৎকার করে কেন? চিৎকার এমন একটি ইমোশন যা আমাদের ভেতরের নার্ভাসনেস দূর করতে সহায়তা করে। সেই সাথে মনের ওপর এর প্রভাবও আছে।
৭. সবুজ দেখার চেষ্টা করুন, প্রকৃতি বা সবুজ রং সবসময় মানব মনে পরিবর্তন ঘটাতে সাহায্য করে। সবুজ রঙ এবং প্রকৃতি দুটোই আমাদের মস্তিষ্কের নিউরণের জন্য ভালো। এটি আমাদের মস্তিষ্ককে রিল্যাক্স হতে সহায়তা করে। তাই মানসিক চাপ দূর করতে গাছের দিকে তাকিয়ে থাকুন কিছুক্ষণ।
৮. নিজের মনে একটু আঁকিবুকির চেষ্টা করুন, নিজের মনের অনুভূতি নিজের মতো করে প্রকাশ করে ফেললে অনেকটা চাপ কমে যায়, আর সেকারণেই আঁকতে পারেন ছবি ।
৯. বেলুন ফোলানোর জন্য আপনার একবার জোরে শ্বাস নিতে হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ছাড়তে হবে। এর ফলে শ্বাসপ্রশ্বাসের অনেক ভালো ব্যায়াম হয়। এতে করে মাংসপেশি ও মস্তিষ্ক রিল্যাক্স হ।
আরএএইচ/এইচএন/আরআইপি