রূপচর্চায় ফলের খোসা


প্রকাশিত: ১০:৪০ এএম, ১১ এপ্রিল ২০১৫

ফল খাওয়ার পরে ফলের খোসা কী করেন? প্রশ্ন শুনে নিশ্চয়ই ভাবছেন, এ আবার কেমন প্রশ্ন, ফলের খোসা নিশ্চয়ই জমিয়ে রাখার জিনিস নয়! জমিয়ে রাখার জিনিস নয়, তবে ফেলে দেয়ার জিনিসও কিন্তু নয়! অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই, রূপচর্চার জন্য যেসব মূল্যবান উপাদান আপনার কাছে আছে সেই তালিকায় ফলের খোসার নামটাও রেখে দিন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফলের খোসাও উপকারী। রূপচর্চার কাজেও রয়েছে এর নানা ব্যবহার-

১. শরীরে ঘামের গন্ধ হলে গোসলের আগে পানিতে ডুবিয়ে রাখুন লেবুর খোসা। তারপর সেই পানিতে গোসল করুন। দেখবেন সতেজ আর ঝরঝরে লাগছে নিজেকে। মাথার চুল থেকেও আসবে লেবুর হালকা সুবাস। যাদের ঘাম বেশি হয় তারা চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

২. অথবা কমলা লেবুর খোসা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখতে পারেন। চমৎকার পারফিউমের কাজ করবে ওই সুবাসিত পানি। বাইরে যাওয়ার আগে এর একটু শরীরে মাখিয়ে নিন,আর সারাদিন থাকুন কমলার ঘ্রাণে ফুরফুরে।

৩. কমলার খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে রেখে দিতে পারেন। রূপচর্চায় দারুণ কাজ দেয় এটি।

৪. হলদে দাঁতের জন্য অনেকেই প্রাণ খুলে হাসেন না। লোকজনের সামনে হাসতে লজ্জা পান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলার খোসা ফেলে না দিয়ে তা দিয়ে নিয়মিত দাঁত ঘষলে দাঁতের হলদে দূর হয়।

৫. পেঁপে খাবার পর এর ছাল চলে যায় ময়লার ঝুড়িতে। এই ছালও উপকারী। যেমন পেঁপের ছাল দিয়ে পায়ের পাতা ও গোড়ালি ঘষলে পা থাকবে কোমল। গোড়ালী ফাটার সমস্যা থেকেও মুক্তি পেয়ে যেতে পারেন।

এইচএন/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।