ফ্রিজে বালিশ রাখার দিন আজ

ফ্রিজে বালিশ রাখার বিষয়টি হাস্যকর হলেও, আজ কিন্তু এমন কিছু করার দিন। প্রতিবছর ২৯ মে পালিত হয় উদ্ভট এই দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ফ্রিজে বালিশ রাখার বিষয়টিকে সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্য বয়ে আনার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
ধারণা করা হয়, বালিশের উৎপত্তি ঘটে ৭ হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে মেসোপটেমিয়ার প্রথম দিকে। তখনকার বালিশগুলো পাথরের তৈরি ছিল, যা মোটেও আরামদায়ক ছিল না।
আরও পড়ুন: একই বালিশের কভার কতদিন ব্যবহার করবেন?
মিশরীয়রা বিশ্বাস করতো, মাথা হলো আধ্যাত্মিক জীবনের আসন। এ কারণে তারা বালিশ হিসেবে মার্বেল, হাতির দাঁত, পাথর, সিরামিক ও কাঠের মতো বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করতো।
প্রাচীন গ্রিক ও রোমানরাই প্রথমে আরামদায়ক বালিশ তৈরি করেছিল, যা আমরা আজ ব্যবহার করি তার অনেকটা কাছাকাছি ধরনের। তখন সাধারণ মানুষ তুলা, খড় ও নলখাগড়ার মতো উপকরণ ব্যবহার করতো বালিশ তৈরিতে।
আর ধনীরা তাদের বালিশগুলোতে নরম পালক দিয়ে ভরাট করত। ঊনবিংশ শতাব্দীতে, শিল্প বিপ্লব বালিশকে সাধারণ করে তোলে। এ সময় প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই বালিশের ব্যবহার শুরু হয়।
আরও পড়ুন: জিম করার সময় যে ভুলে হতে পারে বিপদ
এরপর থেকে বালিশ সাধারণ মানুষের কাছে আরও সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। পরবর্তীসময়ে বালিশের জন্য তুলা, লিনেন, সিল্ক ও মখমলের মতো উপকরণ ব্যবহার করা হয়। এমনকি ঘরের সাজসজ্জা হিসেবে থ্রো বালিশ ব্যবহার করা হতো।
বর্তমানে বালিশেরও অনেক ব্র্যান্ড আছে। জেল বালিশ, বয়ফ্রেন্ড পিলো ও বডি পিলো, যা মানুষকে ঘুমানোর সময় শান্তি খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
আজ ফ্রিজে বালিশ রাখার দিন। তবে এই দিবসের সঠিক উৎস জানা যায়নি। অনেকেই ধারণা করেন, এটি সৌভাগ্য বয়ে আনতে পারে। হতে পারে এটি পুরোনো ঐতিহ্যের একটি আধুনিক সংস্করণ। চাইলে আজ ফ্রিজে বালিশ রেখে, ঠান্ডা বালিশে ঘুমাতে পারেন!
সূত্র: ন্যাশনাল টুডে
জেএমএস/জিকেএস