চোখ জ্বালাপোড়া-লাল হওয়ার সমস্যা সমাধানে কী করবেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩০ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

গোলাপি চোখ, যা কনজেক্টিভাইটিস নামেও পরিচিত। এটি কনজাংটিভা’এর একটি প্রদাহ, যা চোখের সাদা অংশ ও চোখের পাতার ভেতরের অংশে রেখাযুক্ত পাতলা পরিষ্কার টিস্যু। এটি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, অ্যালার্জেন ও বিরক্তিকর কারণে হতে পারে।

গোলাপি চোখ বা পিংক আইজের সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে লালভাব, চুলকানি, জল, স্রাব ও চোখের মধ্যে একটি তীব্র সংবেদন। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় ছোট-বড় অনেকেই পিংক আইজের সমস্যায় ভুগছেন।

আরও পড়ুন: ‘চোখ ওঠা’সহ আরও যে কারণে রক্তবর্ণ হয়ে ওঠে চোখ 

যদিও বছরের যে কোনো সময় গোলাপি চোখ দেখা দিতে পারে, তবে শীতকালে ফ্লু ঋতুতে এর ঝুঁকি কিছুটা বেশি।

ভাইরাল গোলাপি চোখ ফ্লু’সহ শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। এই ঋতুতে গোলাপি চোখের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে কী করবেন জেনে নিন-

নিয়মিত হাত ধুতে হবে

সঠিক হাতের পরিচ্ছন্নতা হলো গোলাপি চোখের বিস্তার রোধ করার অন্যতম কার্যকর উপায়। এক্ষেত্রে সাবান ও গরম পানি ব্যবহার করুন ও কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য আপনার হাত ঘষুন।

আরও পড়ুন: চোখের শুষ্কতা কমবে নারকেল তেল ব্যবহারে! 

চোখ স্পর্শ করবেন না

নোংরা হাত বা বস্তু দিয়ে আপনার চোখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন, কারণ এটি ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংস্পর্শে আসতে পারে, পরবর্তী সময়ে গোলাপি চোখের বারণে হতে পারে।

পৃষ্ঠতল জীবাণুমুক্ত করুন

ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া যে কোনো পৃষ্ঠের উপর বেঁচে থাকতে পারে, তাই নিয়মিতভাবে এমন বস্তু ও পৃষ্ঠগুলিকে স্যানিটাইজ করুন যা ঘন ঘন স্পর্শ করা হয় যেমন- দরজার নব, আলোর সুইচ ও ফোন।

আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন

গোলাপি চোখ সহজেই ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে, তাই এ অবস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন।

আরও পড়ুন: চোখ জ্বালাপোড়া করে কেন? সারাতে যা করবেন 

কাশি বা হাঁচির সময় আপনার মুখ ও নাক ঢেকে রাখুন

কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় আপনার মুখ ও নাক ঢেকে রাখতে একটি টিস্যু বা আপনার কনুই ব্যবহার করুন, যাতে শ্বাসকষ্টের ফোঁটা ছড়িয়ে না যায়। এতে গোলাপি চোখের সংক্রমণ হতে পারে।

ব্যক্তিগত জিনিস শেয়ার করবেন না

তোয়ালে, বালিশ বা মেকআপ ব্রাশের মতো আইটেম শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এগুলো সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

মুখে বারবার হাত দেবেন না

আপনার চোখ ও মুখ থেকে আপনার হাত দূরে রাখার বিষয়ে সচেতন থাকুন। বিশেষ করে ফ্লু মৌসুমে। এটি আপনার বিভিন্ন সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমাতে পারে।

আরও পড়ুন: চোখ লাফানো কি কোনো রোগ? 

শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন করুন

সংক্রমণের বিস্তার রোধ করতে টিস্যু বা আপনার কনুইতে কাশি বা হাঁচি দিয়ে সঠিক শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যবিধি ব্যবহার করুন।

চোখ ঘষবেন না

বারবার চোখ ঘষার কারণে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সহজেই চোখে প্রবেশ করতে পারে। ফলে গোলাপি চোখের ঝুঁকি বাড়ে। আপনার চোখ শুষ্ক বা চুলকানি অনুভব করলে চোখের ড্রপ বা কৃত্রিম অশ্রু ব্যবহার করুন।

আরও পড়ুন: চোখ ওঠা ও অঞ্জনির মধ্যে পার্থক্য কোথায়? 

টিকা দিন

গোলাপি চোখ বা অন্যান্য জটিলতা হওয়ার ঝুঁকি কমাতে ফ্লু’র মতো সাধারণ শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার বিরুদ্ধে টিকা নিন।

এটি লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে, গোলাপি চোখের সমস্যা সব ক্ষেত্রেই সংক্রামক নয়। ভাইরাল ও ব্যাকটেরিয়াল কনজেক্টিভাইটিস ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে অ্যালার্জিজাতীয় কনজেক্টিভাইটিস ছোঁয়াচে নয়।

সূত্র: এনডিটিভি

জেএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।