বাংলাদেশ লেখক ডিরেকটরি: শিল্প-সাহিত্যের জানালা

আবু আফজাল সালেহ
আবু আফজাল সালেহ আবু আফজাল সালেহ , কবি ও প্রাবন্ধিক
প্রকাশিত: ০১:৩৯ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২২

শিল্প-সাহিত্যের জন্য দরকারি একটি বই হচ্ছে ‘বাংলাদেশ লেখক ডিরেকটরি’। এটি বাংলাদেশের লেখক ও লেখা-সম্পর্কিত একটি বিশাল তথ্যভান্ডার। ‘বাবুই প্রকাশনী’ থেকে প্রকাশিত ডিরেকটরিটি সম্পাদনা করেছেন
লেখক ও প্রকাশক কাদের বাবু। এর প্রথম প্রকাশ ২০১৯ সালে। এরপর পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করে ২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রকাশ করা হয় দ্বিতীয় সংস্করণ। সাতাশ ফরমার বইটির মুদ্রিত মূল্য ৬০০ টাকা।

দেশের বিভিন্ন ধরনের লেখকের বাইরে বিশেষ অধ্যায়গুলো হচ্ছে—প্রবাসী লেখক, চিত্রশিল্পী, কার্টুনিস্ট, সাহিত্যপত্রিকা ও ম্যাগ, অনলাইন সাহিত্যপত্রিকা, শিশুকিশোর পত্রিকা, ছড়ার লিটলম্যাগ, সাপ্তাহিক ও পাক্ষিক পত্রিকা, রাজধানী এবং বিভিন্ন জেলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকার তথ্য।

অধ্যায়গুলো বইয়ের সবচেয়ে সবল দিক বলে মনে করি। এখানে পত্রিকার ই-মেইল, সম্পাদকের নাম ও ঠিকানা রয়েছে। ডিজিটাল যুগে বিশেষ করে ই-মেইল ঠিকানা খুব কাজে লাগে। কিছু পাতার নিচে সাহিত্যের বিভিন্ন পুরস্কারের তথ্য দেওয়া হয়েছে। পাতার নিচে বই-লেখকের প্রচার ও অন্যান্য তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে।

বর্ণ-অনুযায়ী ছাপা হয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি কবি-সাহিত্যিকের সংক্ষিপ্ত তথ্য। রয়েছে যোগাযোগের ই-মেইল ও সেলফোন নম্বর। বইটি হাতের কাছে থাকলে পারস্পারিক যোগাযোগ বাড়বে বলে আমার বিশ্বাস। বিভিন্ন পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।

এতে জাতীয় দৈনিকের পাশাপাশি আঞ্চলিক পত্রিকার সঙ্গে যোগাযোগের ই-মেইল বা ফোন নম্বর রয়েছে। কোনো চিত্রশিল্পীর সেলফোন নম্বর দরকার হলেও পেয়ে যাবেন এ বইতে। প্রবাসী লেখকদেরও পাবেন সহজেই। সাহিত্যপত্রিকার সম্পাদকের ফোন বা মেইল দরকার হলেও পাশে দাঁড়াবে বইয়ের ‘সাহিত্যপত্রিকা’ বিভাগ।

‘অনলাইন সাহিত্য’ বিভাগে পাবেন নন্দিত সব ই-ম্যাগের পাশাপাশি শিশুকিশোর ত্রৈমাসিক সাময়িকীর বিভিন্ন তথ্য। পাবেন শিশুকিশোর পত্রিকার সম্পাদকের নাম, ফোন বা ই-মেইল ঠিকানা। প্রতি পাতার নিচে বা শেষের পাতায় বিভিন্ন বইয়ের বিজ্ঞাপনে যে কোনো লেখক সম্পর্কে জানতে পারবেন।

বইটি দেখে প্রথমে রসকষহীন মনে হতে পারে। কিন্তু ভেতরে ঢুকলেই অন্যরকম ও কষ্টার্জিত এক উদ্যোগ বলে বিশ্বাস হবে। লেখকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বা স্বপ্রণোদিত তথ্য দিয়ে বইটি সাজানো হয়েছে বলে ভুল-ত্রুটির সংখ্যা কম আছে বলে মনে হয়েছে।

সম্পাদক কাদের বাবু অভিজ্ঞতা মিশেলে জমজমাট এক তথ্যভান্ডার তৈরি করেছেন। লেখক-পত্রিকা-লেখা নিয়ে এত বড় কাজ আমি আগে দেখিনি! বইটি সংগ্রহ করলে পাঠক বা লেখক উপকৃত হবেন। সব লেখকের কাছে বইটির একটি করে কপি থাকা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।