নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের সুপারিশ দিতে মন্ত্রিসভা কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৫ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮

সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের বেতন-ভাতা সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে নবম ওয়েজবোর্ড। নতুন এই বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের সুপারিশ দিতে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড, ২০১৮’ এর সুপারিশ উপস্থাপন করা হলে তা পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘ওয়েজবোর্ডের সুপারিশ বাস্তবায়নে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন শিল্পমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী ও শ্রমমন্ত্রী। এই কমিটিতে সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে তথ্য মন্ত্রণালয়।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘২৮ জানুয়ারির মধ্যে এটার (নবম বেতন কাঠামো) প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে, এটার একটা বাধ্যবাধকতা আছে। তাই তাদের ১৮ জানুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। ওনারা যে সুপারিশটা দেবেন সেটাই সরাসরি গেজেট হয়ে যাবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, নবম মজুরি বোর্ডেও সাংবাদিক, প্রশাসনিক কর্মচারী ও প্রেস শ্রমিকের জন্য ১৫টি বেতনক্রম নির্ধারণ করা হয়েছে। সংবাদপত্রকে পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে উপস্থিত তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, আগে প্রচার সংখ্যা ও আয়ের ভিত্তিতে এই শ্রেণি করা হলেও এখন সেখানে পত্রিকার পৃষ্ঠা সংখ্যা ও জনবলও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।

শফিউল আলম বলেন, ‘ওয়েজবোর্ডে প্রথম তিনটি গ্রেডে ৮০ শতাংশ ও শেষের দিকে তিনটি গ্রেডে সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। যে সুপারিশ আসবে তারা (কমিটি) সেটা পর্যালোচনা করে হয়তো একটা নির্ধারণ করবেন।’

শফিউল আলম বলেন, ‘সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী মূল বেতনের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বাড়িভাড়া পাবেন। ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতাও পাবেন।’

গত ৪ নভেম্বর সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কাছে ‘নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ ২০১৮’ সুপারিশমালা জমা দেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হক।

সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণের জন্য চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি নবম মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়। ১৩ সদস্যের এই বোর্ডে চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হক। এছাড়া সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ এবং সাংবাদিক ও সংবাদপত্র কর্মচারী বা শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সমসংখ্যক প্রতিনিধিও রয়েছে ওয়েজবোর্ডে।

সরকারের কাছে সুপারিশ দিতে বোর্ডকে ছয় মাস সময় দেয়া হয়েছিল। গত ২৮ জুলাই সেই সময় শেষ হয়। পরে নবম মজুরি বোর্ডের মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানো হয়।

গত ১১ সেপ্টেম্বর নবম বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করার আগে প্রতি মাসের মূল বেতনের উপর ৪৫ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করে সরকার। এ মহার্ঘ ভাতা গত ১ মার্চ থেকে কার্যকর ধরা হয়। এ মহার্ঘ ভাতা বোর্ডের নির্ধারিত সামগ্রিক বেতন কাঠামোর সঙ্গে সমন্বিত হবে।

আরএমএম/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।