নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে সামনে ‘মহাবিপদ’: এ কে আজাদ
দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে সামনে ‘মহাবিপদ’ অপেক্ষা করছে—এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি এ কে আজাদ।
তিনি বলেছেন, বিদেশিরা বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে উদগ্রীব হয়ে তাকিয়ে আছে। নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়, তার ওপর দেশের ভবিষ্যৎ অনেকাংশে নির্ভর করছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ উপলক্ষে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক, রেডিও-টেলিভিশনের বার্তা প্রধান এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের নিয়ে এ সভার আয়োজন করে ‘তারেক রহমান–স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কমিটি’। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
মতবিনিময় সভায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নোয়াব সভাপতি বলেন, এই নির্বাচনটা যদি আমাদের দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা না পায়, তাহলে সামনে আমাদের মহাবিপদ। অনেক বিদেশি, যাদের সঙ্গে আমরা ব্যবসা করি—তারা কিন্তু খুব উদগ্রীব দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমাদের নির্বাচনের দিকে।
সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের ও বিএনপির সবচেয়ে বড় দায়িত্ব রয়েছে বলে মনে করেন এ কে আজাদ।
তিনি বলেন, বিএনপি সবচেয়ে বড় দল। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে গিয়ে কোথাও বিএনপিকে ১০টি সিট হারাতেও হয়, আমার মনে হয় এখনকার যে প্রথম আলো সার্ভে করেছে, তাতে বিএনপির ক্ষমতায় আসতে কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা না।
গণমাধ্যমকে উন্মুক্তভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নোয়াব সভাপতি বলেন, আমাদের যদি উন্মুক্ত করে দেন, গঠনমূলক সমালোচনা করার সুযোগ দেন তাহলে আমরা দায়িত্বশীলভাবে সেটা করবো।
নির্বাচনের পর সরকার দায়িত্ব নিলে নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপ করার প্রস্তাব দেন তিনি। বলেন, এভরি সিক্স মান্থ আপনারা যদি আমাদের এইভাবে আহ্বান করেন, তাহলে আমরা আপনাদের ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে পারবো।
এ কে আজাদ গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতার কথা তুলে ধরে বলেন, সব যে সঠিকভাবে আমরা উপস্থাপন করি, তা-ও না। আমাদের ভেতরেও ভুলভ্রান্তি হয়। আমরা অ্যাপোলজি (দুঃখ প্রকাশ) করি। আপনারা আমাদের ভুলগুলো ধরিয়ে দেন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম যখন দুর্নীতি ও অন্যায় তুলে ধরে, তখন সরকারের দায়িত্ব তা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া। আপনারা (সরকার) যদি আমাদের বলেন—আপনারা যে দুর্নীতি বা অন্যায় তুলে ধরেছেন, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি—তাহলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা, সেটা সফল হবে।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/এমকেআর/এমএস