তৌহিদ-জয়শঙ্কর বৈঠক

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঢাকা-দিল্লির একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১৬ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাংলাদেশ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের চ্যালেঞ্জগুলো স্বীকার করে তা মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ওমানের রাজধানী মাসকাটে অনুষ্ঠিত অষ্টম ভারত মহাসাগর সম্মেলনের (আইওসি) ফাঁকে তাদের মধ্যে এই আলোচনা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উভয় পক্ষ স্বীকার করেছে যে প্রতিবেশী দুটি দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন এবং সেগুলো মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।

বৈঠকে তৌহিদ হোসেন গঙ্গা নদীর পানি চুক্তির নবায়নের বিষয়ে আলোচনা শুরুর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

তিনি দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) স্থায়ী কমিটির বৈঠক আহ্বানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং এ বিষয়ে ভারতের সমর্থন চান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগামী ১৮-২০ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সমাধানের ব্যাপারে উভয় পক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়েও মতবিনিময় করেন বলে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এক পার্শ্ববৈঠকে তাদের শেষ সাক্ষাতের প্রসঙ্গ টেনে তারা উল্লেখ করেন, এরপর থেকে দুই দেশ একাধিক দ্বিপক্ষীয় সংলাপে অংশ নিয়েছে, যার মধ্যে গত ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের পররাষ্ট্র দপ্তর পরামর্শ বৈঠকও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এ ছাড়া, তারা ১০-১১ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত 'ইন্ডিয়া এনার্জি উইক' আয়োজনে বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টার অংশগ্রহণের বিষয়টিও স্মরণ করেন।

আইওসির পার্শ্ববৈঠকে তৌহিদ হোসেন ব্রুনাইয়ের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তানজানিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।