ডিএনসিসির প্রশাসক

জনস্বাস্থ্য রক্ষা-জলাবদ্ধতা নিরসনে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৪ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ

ঢাকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং জলাবদ্ধতা নিরসন এই তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএনসিসির হলরুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভা শুরুর আগে ডিএনসিসি প্রশাসক গুলশান নগর ভবনের নিচতলায় প্রবেশপথের দেয়ালে স্থাপিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অমর স্মৃতি শিরোনামে ফটো গ্যালারি উদ্বোধন করেন। ফটো গ্যালারিতে ছবির মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনা প্রবাহ উপস্থাপন করা হয়েছে।

ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ঢাকার প্রতিদিনের লড়াই খুব কাছ থেকে জানি। এখানে আমাদের ফুসফুসে বিশুদ্ধ বাতাসের বদলে জমে কালো ধোঁয়া আর ধুলা। শহরে মাঠ থাকলেও খেলার সুযোগ নেই। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা বিশুদ্ধ পানির মতো সাধারণ প্রয়োজনীয় জিনিস যা আমাদের অধিকার, এখনো হয়ে আছে বিলাসিতা। শহরের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী, কিন্তু শহর পরিকল্পনায় তারা উপেক্ষিত। শিশুদের জন্যও নিরাপদ এবং উপযুক্ত শহর গড়ার পরিকল্পনা নেই।

আরও পড়ুন

তিনি আরও বলেন, ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য শহর করতে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, পরিবেশ যেন ভালো থাকে, বাতাস বিশুদ্ধ হয়, নদী-খালগুলো বাঁচে, সবার জন্য উন্মুক্ত জায়গা থাকে যেখানে শিশুরা খেলতে পারে, মানুষ হাঁটতে-বসতে পারে, রাস্তা, ড্রেনেজ, পানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে কাজ করে।

এ সময় তিনি বলেন, আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল উদ্ধার ও খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওয়াসা ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সঙ্গে সমন্বয় করে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। ডিএনসিসির উন্নয়ন কার্যক্রমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। স্থানীয় জনসাধারণের এবং সব অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে উন্নয়ন কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ন্যায্য নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে ডিএনসিসি।

অবৈধ ব্যানার পোস্টার অপসারণের বিষয়ে তিনি বলেন, রাজপথ থেকে ব্যানার-পোস্টার অপসারণ করা হবে। পিভিসি ব্যানার সম্পূর্ণ নিষেধ, এটি পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দেয়ালে দেয়ালে আকা জুলাই গ্রাফিতি রক্ষা করা হবে। পোস্টার ব্যানার লাগালে জরিমানা করা হবে। এছাড়া ডিএনসিসি দলীয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোহাম্মদপুরের বছিলায় হাইক্কার খাল উদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সরেজমিনে গিয়েছি। সীমানা নির্ধারণ ও উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। হাইক্কার খালটি পূর্বের ন্যায় রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন কবরস্থানের মধ্য দিয়ে লাউতলা খাল ও রামচন্দ্রপুর খালের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।

এ সময় তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে উত্তরখান এলাকায় গিয়েছি। ৩টি স্থানে সীমানা নির্ধারণ ও উচ্ছেদ করে ১টি পার্ক, ১টি খেলার মাঠ ও ১টি কমিউনিটি কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। পার্কটি নির্মাণ হবে তেরমুখ ব্রিজের পাশে। আমাইয়া, কাঁচকুড়ায় একটি মাঠ ও একটি কমিউনিটি কমপ্লেক্স নির্মাণ হবে।

ডিএনসিসির কার্যক্রম পরিচালনায় তিনটি অবৈতনিক উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। বায়োডাইভারসিটি (জীববৈচিত্র্য) কমিটি, ডায়াসপোরা (প্রবাসী) কমিটি এবং সাধারণ কমিটি।

এমএমএ/ইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।