অধ্যাপক রইছ উদ্দিন

দাবি না মানা পর্যন্ত পিছিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, ১৬ মে ২০২৫
কাকরাইলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগে দিয়ে কথা বলছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দিন/ছবি জাগো নিউজ

আন্দোলনের এ পর্যায়ে দাবি সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পিছিয়ে যাওয়ার আর সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দিন।

শুক্রবার (১৬ মে) কাকরাইল মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।

অধ্যাপক রইছ উদ্দিন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অবহেলিত, বঞ্চিত এটা ঐতিহাসিকভাবে সত্য। এই বৈষম্যের নিরসনের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দল-মত নির্বিশেষে সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই একাট্টা। সুতরাং আমাদের দাবি পূর্ণাঙ্গরুপে মানতে হবে। আমরা এমন একটি পর্যায়ে উপস্থিত হয়েছি, এখান থেকে ব্যাকে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই সবার সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ চাই।

jagonews24

তিনি বলেন, আমরা এখান থেকে একচুল সরবো না। আমাদের রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত যে সরকার যদি চোখ রাঙিয়ে কথা বলে, হুমকি-ধামকি দেয়, যদি স্টিমরোলার চালানোর প্রচেষ্টা করে তাহলে সেটাকে রুখে দেবো। এ আন্দোলন তখন কাকরাইল মোড়ে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটা কোথায় যাবে, জানি না, এর দায় দায়িত্ব আমরা নেবো না।

তিনি আরও বলেন, এ দেশের প্রত্যেকটা নাগরিক তাদের অধিকার প্রত্যাশা করে। তিনদিন ধরে আমার শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে বসে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। কিন্তু এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সমাধান আসেনি। অথচ চাইলে প্রথম দিনই তার সমাধান করা যেত।

তিনি আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নিপীড়িত,বঞ্চিত ও নিষ্পেষিত। আমরা এমন একস্থানে উপনীত হয়েছি, যেখান থেকে ফিরে যাওয়ার আর কোনো উপায় নেই। আমাদের দাবি পূরণ না হলে এই কাকরাইল মোড় আরেকটি জনদাবি বাস্তবায়নের কেন্দ্রে পরিণত হবে। আমাদের রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত সরকার যদি হুমকি-ধামকি দেয়, আমরা সেটাকে রুখে দেবো।

এদিকে, জুমার পর পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।

কেআর/এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।