ফ্রিতেও নিচ্ছে না ছাগলের চামড়া, ফুটপাতে ফেলে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:১৭ পিএম, ০৮ জুন ২০২৫
বিক্রি করতে না পেরে ফুটপাতে ছাগলের চামড়া ফেলে রেখেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা/ ছবি- জাগো নিউজ

রাজধানী ও আশপাশের এলাকার কোরবানির পশুর চামড়ার একটা বড় অংশ কেনাবেচা হয় আমিনবাজারে। তবে এবার আমিনবাজারে কোরবানির পশুর চামড়ার সরবারহ কম। এখানে বড় আকারের গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায়। তবে ছাগল ও ভেড়ার চামড়ার চাহিদা নেই বললেই চলে।

রোববার (৮ জুন) দুপুর পর্যন্ত আমিনবাজারে কোনো আড়তদারকে ছাগল ও ভেড়ার চামড়া কিনতে দেখা যায়নি। ফলে বাধ্য হয়েই বাজার সংলগ্ন সড়ক ও ফুটপাতে এসব চামড়া ফেলে যাচ্ছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

এদিন দুপুর ১২টার দিকে মাত্র একজন ক্রেতাকে গরুর চামড়া কিনতে দেখা গেছে। এছাড়া এসময় ছুরি, চাকু হাতে কয়েকজনকে চামড়ার গায়ে লেগে থাকা মাংস ও হাড় কাটতে দেখা যায়।

ফ্রিতেও নিচ্ছে না ছাগলের চামড়া, ফুটপাতে ফেলে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

কথা হয় শহিদুল হক নামের এক আড়তদারের সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, আজ চামড়া আসছে কম। এক পিস, ২ পিস এমন করে। সকাল থেকে মাত্র ২০ পিস চামড়া কিনেছি। দাম গতকালের মতোই ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা। গতকাল ঈদের দিন ৬০০ পিসের বেশি চামড়া সংগ্রহ করেছি।

ছাগলের চামড়ার ভালো দাম ট্যানারি দিতে চায় না বলে এই চামড়া কেউ কিনছেন না বলেও জানান তিনি।

আমিনবাজারে বিক্রি করতে ৬ পিস ছাগলের চামড়া এনে বিপাকে পড়েছেন মাকসুদ আলম। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, এখন কী করবো বুঝছি না। ছাগলের চামড়া কেউ নিচ্ছে না। ছাগলের চামড়ার দাম নেই। এতদূর থেকে ছাগলের চামড়া এনে বিপদে পড়েছি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত উল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, ২০১৭ সালে হাজারীবাগ থেকে যখন ট্যানারিগুলো সাভারে স্থানান্তর হয়, তখন ছাগলের চামড়া নিয়ে যারা কাজ করে তারা স্থানান্তর হতে পারেননি। এমন অসংখ্য ট্যানারি সাভারে যেতে পারেনি। এখন যে ট্যানারিগুলো আছে সেগুলোর ছাগলের চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার সক্ষমতা নেই। বাকি যেগুলো আছে ওই ট্যানারিগুলার অবস্থা খুবই খারাপ, ওরা দীর্ঘদিন লোকসানে আছে। অনেকগুলো প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ছাগলের চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার মতো বড় কোনো ট্যানারি নেই।

আকারে ছোট, প্রক্রিয়াজাতে খরচ বেশিসহ ছাগলের চামড়ার সমস্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, মেইনটেন্যান্সে অনেক খরচ আছে। ছাগলের চামড়ায় বেশি কাট (চামড়া ছড়ানোর সময় কেটে যায়) হয়ে যায়। ছাগলের চামড়া আকারে ছোট, এ কারণে একটা দুইটা কাট থাকলে ন্যায্যমূল্য থাকে না। তখন প্রক্রিয়াজাত খরচও উঠে আসে না। এ জন্য ছাগলের চামড়ার প্রতি অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।

এসএম/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।