জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

এআই দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা আর চা খাচ্ছেন প্রিন্সিপাল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫২ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২৫
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, ভয়াবহ অবস্থা চলছে, দায়িত্বশীল শিক্ষক খুঁজে পাওয়া কঠিন। ১০ জন শিক্ষকের মধ্যে তিনটি করে গ্রুপ।

নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, সম্প্রতি ঢাকার এক কলেজে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা মোবাইলফোনে এআই ব্যবহার করে পরীক্ষা দিচ্ছে। আর প্রিন্সিপাল চুপচাপ বসে চা খাচ্ছেন।

রোববার (১০ আগস্ট) ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। সংলাপ আয়োজন করেছে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, পরীক্ষা নেওয়ার মতো শিক্ষক নেই। ৪০০ উপজেলা চারজন শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছে না। যে ডাল ধরি সেই ডালই ভেঙে পড়ে যাচ্ছে। যাকে ধরি সে-ই দেখা যায় কিছু একটা, ১০ জন শিক্ষক তিনটা করে গ্রুপ একেকটা কলেজে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পদ্ধতি ও পাঠ্যক্রমে শিক্ষা ও শিল্পের সংযোগ প্রায় শূন্য। তারপরও এটা নিয়ে কেউ কথা বলেন না। কারণ, দেশে বড় বড় কোম্পানিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীর প্রয়োজন আছে। এসব শিক্ষার্থী দক্ষ নন, তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষাও কম। এজন্য তাদের সহজে ম্যানিপুলেট করা যায়। দীর্ঘ সময় ধরে তাদের ব্যবহার করা যায়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পদ্ধতির দুর্বলতা প্রসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, এখানে পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক দর্শনের কোর্সের নম্বর ইনপুট করেন। ল্যাব নেই এমন অনার্স-মাস্টার্সের কলেজেও রসায়ন, পদার্থ আর জীববিজ্ঞানের পরীক্ষায় ১০০ নম্বর দেওয়া হয়। অনেক কলেজে ল্যাব থাকলেও সেখানে কোনো কাজ হয় না।

উপাচার্য আরও বলেন, এই ল্যাব ছাড়া শিক্ষার্থীরা কেমিস্ট্রি, ফিজিক্স পাস করে চলে আসছে। এই জায়গা থেকে আমরা বের হব কী করে।

সিপিডির সংলাপে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ। সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

এসএম/এনএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।