মালয়েশিয়ায় ড. ইউনূসকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মালয়েশিয়া
প্রকাশিত: ০৮:৫৭ পিএম, ১১ আগস্ট ২০২৫
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লালগালিচা সংবর্ধনা

তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।সোমবার (১১ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে কুয়ালালামপুরে পা রাখেন তিনি।

এর আগে দুপুর ২টায় ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে সোমবার দুপুর ২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন মালয়েশিয়ার উদ্দেশে তিনি।

ড. ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাণিজ্যিক বিমানটি কুয়ালালামপুরে অবতরণের পর বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল।এ সময় অধ্যাপক ইউনূসকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

তিন দিনের এই সরকারি সফরে ড. ইউনূস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন। সফরকালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতকে অন্তর্ভুক্ত করে একাধিক সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়া আলোচনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, শ্রমবাজার সম্প্রসারণ, গভীর সমুদ্রের সঠিক ব্যবহার, কৃষি ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদারের বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মালয়েশিয়া ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানানো হবে।

এ সফরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হতে পারে ড. ইউনূসের। সফরে তার সঙ্গে আছেন পররাষ্ট্র, প্রবাসীকল্যাণ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বৈঠকে খাজানার সঙ্গে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহযোগিতা, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ আহ্বান করা হবে।

তিনি বলেন, সমুদ্রের ৪০-৫০ কিলোমিটারের মধ্যে আমরা মাছ আহরণ করি। অথচ সমুদ্রের সীমানা প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশের সীমানার চেয়ে বেশি। এখানে প্রধান উপদেষ্টা গুরুত্ব দিতে চাইছেন। এর আগে জাপান সফরেও প্রধান উপদেষ্টা অনেক কথা বলেছেন।

শফিকুল আলম বলেন, এছাড়া প্রোটন হোল্ডিংসের সঙ্গে ইলেকট্রিক যানবাহন উৎপাদন সম্ভাবনা এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানি এক্সিয়াটার প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে বৈঠকও সূচিতে রয়েছে। প্রোটন হােল্ডিংস ইলেকট্রিক যানের ওপর অনেক ইনভেস্ট করছে। বাংলাদেশেও ইভি ম্যানুফেক্চার করা যায় কি না, করলেও কেমন সহযোগিতা করতে পারি, সেটা নিয়ে আলোচনা হবে।

কেএইচকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।