১৫ আগস্ট

ধানমন্ডি ৩২ ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার, কঠোর অবস্থানে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:০২ এএম, ১৫ আগস্ট ২০২৫

১৫ আগস্ট, বিগত সরকার আমলে এই দিনটি ঘিরে থাকতো বিভিন্ন অনুষ্ঠান-কর্মসূচি। তবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর এবার নেই তেমন কোনো আয়োজন। বরং ১৫ আগস্ট ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অপতৎপরতা রুখতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থান নিয়েছে জনতা। কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের প্রবেশমুখে দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ভেতরে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা এবং বিএনপি ও দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় তাদের আওয়ামী লীগ-বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা গেছে।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের প্রধান ফটকে ব্যারিকেড অতিক্রম করে সামনে এগোতেই পুলিশের সাঁজোয়াযান ও জলকামান দাঁড় করে রাখতে দেখা যায়। ৩২ নম্বরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিও দেখা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক পুলিশ সদস্য জানান, দিনটি ঘিরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন তারা। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।

এদিন বিকেল থেকেই ৩২ নম্বরে অবস্থান নেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। সেখানে তিন ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগ কর্মী সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এসে ভিডিও কলে কাউকে পরিস্থিতি দেখাচ্ছিলেন। এসময় ভিডিও কলের বিপরীত পাশে থাকা ব্যক্তির ফোনের ক্যামেরায় শেখ হাসিনা এবং শেখ মুজিবের ছবি দেখা গেলে উপস্থিত ছাত্র-জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গণপিটুনি দেয়। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা তাকে নিয়ে সেই স্থান ত্যাগ করেন।

উপস্থিত জনতার দাবি, ওই ব্যক্তির ফোনেও শেখ হাসিনা এবং শেখ মুজিবের ছবি দেখেছেন তারা।

এ বিষয়ে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ একজন বলেন, গতকাল শেখ হাসিনার ছেলে জয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ৩২ নম্বরে অবস্থান নিতে বলেছেন। তারা যাতে কোনো ধরনের অঘটন ঘটাতে না পারে সেজন্য আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি।

তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি আওয়ামী লীগের দোসর। তার ফোনে শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবের ছবি রয়েছে। তাই আমরা ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।

এর কিছুক্ষণ পরই রাত ৯টা নাগাদ আরেকজনকে গণপিটুনি দিতে দেখা যায়। এসময় পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। তবে কী কারণে তাকে আওয়ামী লীগ কর্মী বলা হচ্ছে সে বিষয়ে কেউ ঠিকমতো জানাতে পারেননি।

এসময় উপস্থিত জনতা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলেন, আওয়ামী লীগের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান, জিয়ার সৈনিক, এক হও, লড়াই করো- ইত্যাদি।

কেআর/কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।