মনোনয়নপত্রে জামিনের সার্টিফায়েড কপি না চাওয়ার অনুরোধ বিএনপির

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২৩ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ

আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে মনোনয়নপত্র জমাদানে আইনি জটিলতা নিরসন এব তারেক রহমানের ভোটার তালিকায় নাম তোলাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। বৈঠকে আরপিও বহির্ভূত শর্ত শিথিল এবং নির্বাচনি পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। এজন্য বিএনপির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রে জামিনের সার্টিফায়েড কপি না চাওয়ার জন্য ইসিকে অনুরোধ করেছে বিএনপি।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির কার্যালয়ে বিকেল ৩টার দিকে বৈঠকে বসেন সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বিএনপির প্রতিনিধিদল। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার রহমানেল মাছউদ ও নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে বিএনপির ৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির প্রতিনিধিদলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ ও নির্বাচন কমিশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব ডক্টর মোহাম্মদ জকরিয়া।

সালাহউদ্দিন জানান, আরপিও-র ১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রার্থীকে কেবল ফৌজদারি মামলার তথ্য প্রদান করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে জামিনের সার্টিফাইড কপি বা অর্ডার শিট চাওয়া হচ্ছে, যা মূল আইনে নেই। রাজনৈতিক নেতাদের নামে শত শত গায়েবি মামলা রয়েছে, যার হদিস পাওয়াই দুষ্কর। তাই বাড়তি কাগজপত্রের বোঝা না চাপিয়ে আইনের মূল বিধান অনুযায়ী তথ্য গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত বলতে যাতে কেবলমাত্র আদালতের মাধ্যমে চার্জ গঠন বুঝানো হয়, সে বিষয়ে স্পষ্টীকরণ চাওয়া হয়েছে। অন্যথায় ঢালাও এফআইআর-এর কারণে প্রার্থীরা হয়রানির শিকার হতে পারেন বলে জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনি ব্যয় নির্বাহের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়ে একটি প্রযুক্তিগত সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে। সাধারণত প্রতীক বরাদ্দের পর এজেন্ট নিয়োগ হয়। তার আগ পর্যন্ত প্রার্থী নিজেই যাতে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন, সেজন্য বিধিতে প্রার্থী অথবা নির্বাচনি এজেন্ট কথাটি ধারাবাহিকভাবে লেখার অনুরোধ জানানো হয়। কমিশন বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখার আশ্বাস দিয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নির্বাচনি পরিবেশ বিষয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল দায়িত্ব সরকারের। নির্বাচন চলাকালীন কমিশন কেবল কর্মকর্তাদের বদলি বা নিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। জনগণ যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এমওএস/এমআইএইচএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।