ট্রাইব্যুনালে এপিবিএন সদস্য

‘আমার রাইফেলের একটি গুলিতে একটি জীবন যায়, এ জন্য নির্দেশ মানিনি’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২০ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চানখাঁরপুলে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালান কনস্টেবল সুজন/ ছবি: সংগৃহীত

‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ মানা কর্তব্য। তবে সব ক্ষেত্রে নয়। ছাত্ররা নিরস্ত্র ছিলেন। আমি জানতাম- আমার রাইফেলের একটি গুলিতে একটি জীবন যায়। এ জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ সত্ত্বেও গুলি করিনি।’

রাজধানীর চানখাঁরপুল ছয়জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জেরার সময় এসব কথা বলেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য অজয় কুমার।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) মামলার ১৫ নম্বর সাক্ষী হিসেবে অজয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ জবানবন্দি দেন। বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেলে তার জবানবন্দি নেওয়া হয়। পরে পলাতক চার আসামির পক্ষে অজয়কে জেরা করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী কুতুব উদ্দিন আহমেদ।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ, আবদুস সাত্তার পালোয়ান, তারেক আবদুল্লাহসহ প্রসিকিউশন টিমের অন্যরা।

পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের আইনজীবী তামিম বলেন, চানখাঁরপুল এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। তিনি গত বছরের ৫ আগস্ট চানখাঁরপুলে উপস্থিত ছিলেন। তার সামনেই ছাত্র-জনতার ওপর নির্মম হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে পুলিশ। সাক্ষী দেওয়া পুলিশ সদস্যের নামে একটি চাইনিজ রাইফেল ও ৪০ রাউন্ড গুলি ইস্যু করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করতে চাননি। এ কারণে তাকে গালাগালিসহ চাকরিচ্যুতির ভয় দেখান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এরপরও তিনি গুলি করেননি।

আইনজীবী তামিম জানান, ঘটনার সময় এ সাক্ষীর কাছ থেকে চাইনিজ রাইফেল কেড়ে নিয়ে সুজন নামে এক কনস্টেবলের হাতে দেন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। আর সুজনের হাতে থাকা লাঠি ও ঢাল এনে এ সাক্ষীর হাতে দেওয়া হয়। পরে সুজন-নাসিরুলরা ছাত্র-জনতার ওপর চাইনিজ রাইফেল দিয়ে নির্বিচারে গুলি করেন। সেখানে ছয় ছাত্র নিহত হন। সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন এ সাক্ষী।

এফএইচ/একিউএফ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।