জাতিসংঘে রোহিঙ্গাদের নিয়ে ড. ইউনূস

মিয়ানমার-আরাকান আর্মির ওপর ঐক্যবদ্ধ আন্তর্জাতিক চাপ জরুরি

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৫৭ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটের মূল উৎস মিয়ানমারে এবং সমাধানও সেখানে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমার ও আরাকান আর্মির ওপর কার্যকর চাপ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করে এবং তাদের দ্রুত রাখাইনে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়। সংকটকে মিয়ানমারের বিস্তৃত সংস্কার প্রক্রিয়ার কাছে আটকানো যাবে না।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি’ বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে বক্তব্যে এ সুপারিশ তুলে ধরেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তহবিল ঘাটতি সমাধানের একমাত্র শান্তিপূর্ণ বিকল্প হলো রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা, যা আন্তর্জাতিক সংরক্ষণের চেয়ে কম খরচে সম্ভব।

রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে ড. ইউনূসের ৭ দফা সুপারিশ
জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গারা সর্বদা নিজ বাড়ি ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। বিশেষত সম্প্রতি সংঘাত এড়াতে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাবাসনের সুযোগ দেওয়া উচিত।

রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশের ওপর ক্রমবর্ধমান সামাজিক, আর্থিক ও পরিবেশগত চাপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নমূলক চ্যালেঞ্জ, যেমন বেকারত্ব ও দারিদ্র্য বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে নিয়মিতভাবে কর্মসংস্থান দেওয়া সম্ভব নয়।’

প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্যের সমাপনীতে বলেন, ‘বিশ্ব আর রোহিঙ্গাদের বাড়ি ফেরার জন্য অপেক্ষা করতে পারে না। আজ আমরা সবাই একত্রিত হয়ে এ সংকটের চূড়ান্ত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিই। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার অঙ্গীকার জানানো হলো।’

এমইউ/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।