জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার কথা ছিল জুবিন গার্গের

কূটনৈতিক প্রতিবেদক কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২৯ পিএম, ০১ অক্টোবর ২০২৫
জুবিন গার্গ/ফাইল ছবি

২০২৬ সালের মার্চে দিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করার সম্মতি দিয়েছিলেন প্রয়াত ভারতের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জুবিন গার্গ। তার মৃত্যুর ১১তম দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানালেন ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ।

১১ দিন আগে মারা যান আসামের এই প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী। এখনও শোকে স্তব্ধ তার ভক্তরা। কিংবদন্তি এই শিল্পীকে হারিয়ে আসাম ও উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষ শোকে মুহ্যমান।

তার সঙ্গে সাক্ষাতের স্মৃতি থেকে রিয়াজ হামিদুল্লাহ লিখেছেন, ৩১ জুলাই রাতে সরকারি সফরে আসামে গিয়ে তিনি জুবিনের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। শুরুতে তাকে সতর্ক করা হয়েছিল যে, দেখা পাওয়া পুরোপুরি শিল্পীর ‘মুড’-এর ওপর নির্ভর করবে এবং তিনি কখনও বিব্রতকর মন্তব্যও করতে পারেন। তবে শেষ পর্যন্ত রাত ৮টা ৩০ মিনিটে স্টুডিওতে সময় দেন জুবিন গার্গ।

১৪টি ভাষায় পড়ানো হবে জুবিন গার্গের জীবনী 

যে ৬টি কারণে অমর হয়ে থাকবেন জুবিন 

আসামের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত জুবিন যেভাবে গানের জগতে আসেন 

রাষ্ট্রদূত জানান, প্রথম ১৫-২০ মিনিটেই জুবিন তার ব্যক্তিগত জীবন, পোষা প্রাণী, প্রকৃতিপ্রেম এবং প্রয়াত বোনের কথা শেয়ার করেন। একপর্যায়ে তাকে নিয়ে যান উপরতলায়, দেখান একে একে তার প্রিয় বাদ্যযন্ত্রগুলো।

সেই মুহূর্তে বুঝেছিলাম, তিনি আমাকে আপন করে নিচ্ছেন, লিখেছেন হাইকমিশনার।

জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার কথা ছিল জুবিন গার্গের

রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, ‘মানুষ জুবীন’-এর সঙ্গে দেখা করে তার মনে হয়েছে, তিনি ছিলেন কাদার মতোই নির্মল ও অমলিন। রাষ্ট্রদূত হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবে তাকে গ্রহণ করেছিলেন জুবিন।

সাক্ষাতের এক পর্যায়ে হাইকমিশনার জিজ্ঞেস করেন, তিনি কি ২০২৬ সালের মার্চে দিল্লিতে এসে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। কোনো দ্বিধা ছাড়াই জুবিন সঙ্গে সঙ্গে সম্মতি দেন।

আরও পড়ুন:
শেষবারের মতো পর্দায় আসছেন জুবিন, কবে মুক্তি পাচ্ছে গায়কের সিনেমা

প্রায় এক ঘণ্টা আলাপচারিতার পর রাষ্ট্রদূত বিদায় নিতে চাইলে জুবিন অনুরোধ করেছিলেন আরও কিছুটা সময় থাকতে। তবে রাত হয়ে যাওয়ায় তাকে বিদায় জানাতে হয়। রিয়াজ হামিদুল্লাহর ভাষায়, “ভাবতেই পারিনি, সেটাই হবে আমার প্রথম এবং শেষ সাক্ষাৎ সমকালীন আসামের তরুণ প্রাণ জুবীনের সঙ্গে।”

তিনি আরও লেখেন, সাধারণত একজন কূটনীতিক ব্যক্তিগত টান থেকে কোনো শিল্পীর সঙ্গে দেখা করেন না, যদি না কোনো দ্বিপাক্ষিক কর্মসূচি থাকে। কিন্তু জুবিনের সঙ্গে সাক্ষাতে তার মনে হয়নি, তারা প্রথমবার কথা বলছেন।

হাইকমিশনারের মতে, ‘জুবীন একজন ঘোষিত নাস্তিক হিসেবে মারা গেলেন, কিন্তু শেষমেষ তিনি এক ঈশ্বর হয়ে উঠলেন।’

জেপিআই/এসএনআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।