বিমান চলাচল খাতে নিরাপত্তা সংস্কৃতি জোরদারে কর্মশালা
সিভিল এভিয়েশন একাডেমিতে ‘সিকিউরিটি কালচার ইন এভিয়েশন’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) আয়োজিত এ কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
বুধবার (৮ অক্টোবর) বেবিচকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ কাউছার মাহমুদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, বিমান চলাচল খাতে নিরাপত্তা সংস্কৃতির গুরুত্ব তুলে ধরা এবং বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সে কর্মরত সব পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালা স্বাগত বক্তা ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিভিল এভিয়েশন একাডেমির পরিচালক প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিমান চলাচলে সার্বিক নিরাপত্তা বলয় সংস্কৃতি গড়ে তোলা মানে হলো এমন একটি মানসিকতা তৈরি করা- যেখানে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের অবস্থান থেকে নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। বিমানবন্দর এবং সংশ্লিষ্ট স্থাপনা এবং যাত্রী ও বিমান চলাচলে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিমানবন্দর একটি পজিটিভ সিকিউরিটি কালচার প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে আরও শক্ত অবস্থানে পৌঁছে যেতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন
মালিবাগে বোরকা পরে এসে দোকানের তালা কেটে ৫০০ ভরি সোনা চুরি
মহাসড়কের একপাশ বন্ধ করে বিএনপি নেতার স্মরণসভা
তিন দিনব্যাপী এই কর্মশালার আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল- এভিয়েশন সিকিউরিটি কালচারের ধারণা ও গুরুত্ব, দৈনন্দিন কার্যক্রমে নিরাপত্তা সংস্কৃতি সংযুক্ত করার পদ্ধতি, বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা ও কর্মীদের ভূমিকা এবং এভিয়েশন নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য প্রতিবেদন ও প্রতিক্রিয়া প্রদানের কৌশল।
কর্মশালায় বেবিচক এবং বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষক হিসেবে অংশ নেন। তারা অংশগ্রহণকারীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও কার্যকর কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, বিমান চলাচলের নিরাপত্তা কেবল নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের দায়িত্ব নয়, বরং এটি বিমানবন্দরে কর্মরত সবার সম্মিলিত দায়িত্ব ও অংশগ্রহণের বিষয়।
কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে অংশগ্রহণকারীরা তাদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংস্কৃতি জোরদার করতে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। অংশগ্রহণকারীরা ‘নিরাপত্তা সবার আগে’ এই মনোভাব পোষণ করে বাংলাদেশের বিমান চলাচল খাত আরও নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও টেকসই করার লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এমএমএ/কেএসআর/জিকেএস