মোহাম্মদপুরে সেনা অভিযানে ‘পাটালি গ্রুপে’র ১০ সদস্য আটক
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় সেনা অভিযানে কিশোর গ্যাং ‘পাটালি গ্রুপ’ এর ১০ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়েছে। গ্রুপটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। তাদের কারণে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছিল। সেনা অভিযানে তাদের আটক হওয়ার খবরে এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ২৯ অক্টোবর রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন— শপন (৩০), আল আমিন (২২), শাকিল (২৫), মুনতাজ (২৫), মুক্তার (২৩), রিয়াজ (২১), ইমন (২০), লিমন (২০), আকতার (২০) এবং গ্রুপের অন্যতম নেতা নায়েম (২২)।
সেনা সূত্র জানায়, রাত ৯টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, পাটালি গ্রুপের কয়েকজন সদস্য রায়েরবাজার এলাকায় পুনরায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তথ্যের ভিত্তিতে সেনা টহল দল দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালীন সেনা সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে কিছু দুষ্কৃতিকারী কিশোর জ্ঞান সদস্য খালের মধ্যে লাফিয়ে পালিয়ে যায়। তবে ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পাটালি গ্রুপের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। তাদের কারণে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছিল। সেনা অভিযানে তাদের আটক হওয়ায় এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছে।
আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেনা সদস্যদের এ ধরনের দ্রুত পদক্ষেপের ফলে এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরতে শুরু করেছে।
এ বিষয়ে ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, মোহাম্মদপুর সেনাবাহিনীর হটলাইনে কয়েকজন এলাকাবাসী ফোন করে এই পাটালি গ্রুপের বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমের অভিযোগ দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে রায়ের বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১০ জন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছিল তবে জামিনে ছাড়া পেয়েছে।
তাদের সবাইকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মোহাম্মদপুর থানায় পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা।
টিটি/এমআরএম/জেআইএম