গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার দাবি
গৃহশ্রমিকদের অধিকার রক্ষা, নিরাপত্তা ও আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারকে ব্যাপক প্রচারণা ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর অ্যাগ্রো সেন্টার কনফারেন্স হলে ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধনী) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ অন্তর্ভুক্ত গৃহশ্রমিকদের অধিকার ও সুরক্ষা’ শীর্ষক এক পরামর্শক সভায় আহ্বান জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী আবুল নাহার এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের গবেষণা পরিচালক ও শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ ইমরুল কায়েস আহম্মদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশের সংগঠন সম্পাদক ও লেবার রিলেশনস বিশেষজ্ঞ এ জে ইমতিয়াজ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সংগঠন সম্পাদক শারমিন আখতার চৌধুরী, বাংলাদেশ ডোমেস্টিক ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি পুলক দে ও বাংলাদেশ নারী শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সংগঠন সম্পাদক শহিদুল্লাহ বালু।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা জানান, গৃহশ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি স্বাগত জানানো হলেও বাস্তব অগ্রগতি নিশ্চিত করতে এখনো জটিলতা রয়েছে।
তারা বলেন, নিবন্ধন প্রক্রিয়া পরিষ্কার ও সহজ না হলে অধিকাংশ গৃহশ্রমিকই অধিকার ও সুবিধাবঞ্চিত থাকবে। গৃহশ্রমিকদের বড় অংশ নারী হওয়ায় তাদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং শ্রমঘণ্টা নিশ্চিতে আইনে স্পষ্ট নির্দেশনার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরা হয়।
বক্তারা আরও বলেন, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় আহত বা নিহত গৃহশ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে তাদের এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
একই সঙ্গে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে বর্ধিত প্রশিক্ষণ, গৃহশ্রমিকদের শিশুদের জন্য কমিউনিটিভিত্তিক ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন এবং সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধায় তাদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।
সভায় গৃহশ্রমিক ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা, ২০১৫’ বাস্তবায়ন, শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে গৃহশ্রমিকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শ্রম আইন সংশোধনী বিষয়ে সারাদেশে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানোর জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক, ইউনিয়ন প্রতিনিধি, গৃহশ্রমিক নেতৃবৃন্দ, শ্রম ও মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন এবং বিষয়ভিত্তিক মতামত ও সুপারিশ উপস্থাপন করেন।
আইএইচও/বিএ/এমএস