শাহজালালে যাত্রীর কাছে ঘুস দাবির ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা বলছে বেবিচক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৩ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর/ফাইল ছবি

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সৌদিপ্রবাসী যাত্রীর কাছে ঘুস দাবির অভিযোগের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

সংস্থাটির জনসংযোগ বিভাগ গতjকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঘুসের অভিযোগ আনা ওই যাত্রীর নাম মো. শাহ আলম। সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে তার নির্ধারিত যাত্রার সময় ছিল দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে চেক-ইন কাউন্টার বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও যাত্রীসেবার কথা বিবেচনায় রেখে সৌদি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ পাঁচ মিনিট পর সাড়ে ১১টায় কাউন্টার বন্ধ করে।

তখন যাত্রী শাহ আলম ঢাকা থেকে রিয়াদে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেলা ১১টা ২৮ মিনিটে হেভি লাগেজ গেট-১ দিয়ে প্রবেশ করেন এবং ১১টা ৩১ মিনিটে চেক-ইন কাউন্টারে উপস্থিত হন। পরে সৌদি এয়ারলাইন্স তাকে জানায়, ফ্লাইটের লোড কনফার্ম করা হয়ে গেছে। তাই যাত্রীর চেকিং সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে পরবর্তী ফ্লাইটের জন্য টিকিট রি-শিডিউল করতে তাকে এয়ারলাইন্সের অফিসে পাঠায়।

বেবিচক জানায়, সৌদি এয়ারলাইন্সের নিয়ম অনুযায়ী রি-শিডিউলের ক্ষেত্রে ৮০০ রিয়াল এবং নতুন আসনের জন্য খালি থাকা সাপেক্ষে আসনের শ্রেণি অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। এজন্য ওই যাত্রীর কাছে ৩৩ হাজার টাকা টিকিট রি-শিডিউলিং চার্জ হিসেবে চাওয়া হয়।

যাত্রী শাহ আলম পরে এয়ারলাইন্সের অফিস থেকে ১১টা ৪২ মিনিটে বের হয়ে কাউন্টারে এসে ভিডিও শুরু করেন। এসময় কাউন্টারের সামনে হট্টগোল শুরু হয়। তিনি উত্তেজিত হওয়ায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এভিয়েশন সিকিউরিটির (এভসেক) সদস্যরা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর এভসেক সদস্য এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের সহযোগিতায় ৩৪ হাজার ৩৩২ টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে তিনি শনিবার টিকিট রি-শিডিউল করেন। পরে এদিন দুপুরে তিনি সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।

এমএমএ/একিউএফ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।