খালেদা জিয়া নিরাপত্তা নিতে চাননি : ডিএমপি কমিশনার


প্রকাশিত: ০৫:৫৪ এএম, ২২ এপ্রিল ২০১৫

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় প্রধান দুই দলের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে। এ ঘটনায় উভয় দলের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি মামলাও করা হয়েছে। এছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কূটনীতিকরা। এরই মধ্যে জার্মান বেতার ডয়েচ ভেলেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানিয়েছেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে প্রচার চালানোর আগে খালেদা জিয়া নিরাপত্তা নিতে চাননি।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, খালেদা জিয়া রাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তার নিরাপত্তার জন্য দুই দফা চিঠি দেয়া হয়েছিল। তিনি নিরাপত্তা নিতে চাননি। তাই এই বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে গত ৬ এপ্রিল গুলশান থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। গত ৫ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপার্সন বকশীবাজারে বিশেষ আদালতে মামলার হাজিরা দিয়ে গুলশানে তার বাড়িতে ফেরেন। এরপর ডিএমপি`র প্রটেকশন শাখা থেকে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনী সিএসএফের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসাবে চলাফেরার জন্য পুলিশী নিরাপত্তা নেয়ার অনুরোধ করা হয়। চিঠি পেয়ে সিএসএফের (চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স) প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর জানিয়ে দেন, খালেদা জিয়ার চলাফেরায় কোন পুলিশী নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। এরপরই বিষয়টি জানিয়ে পুলিশ জিডি করে। সেই থেকে তার চলাফেরার বিষয়টি পুলিশ অবহিত নয়।

উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার ডয়চে ভেলেকে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারওয়ান বাজারে যাবেন এটা পুলিশ জানত না। খালেদা জিয়ার আসার বিষয়টি না জানার কারণে নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে সেখানে চারজন পুলিশ সদস্য ছিলেন। ঘটনার সময় তারা তাদের সর্বোচ্চ শ্রম দিয়ে খালেদা জিয়াকে নিরাপদে বের করে দিয়েছেন। এই ঘটনায় মামলা দু`টির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলা দু`টিতে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজেরও সহায়তা নেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সোমবার হামলার শিকার হওয়ার পর মঙ্গলবার বিকেলে খালেদা জিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি দেখতে বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিক গুলশান তার কার্যালয়ে যান। গুলশান কার্যালয়ে যাওয়া কূটনীতিকদের মধ্যে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কাতার, পাকিস্তান, জাপান, ফ্রান্স, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা ছিলেন।

এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।