রাখে আল্লাহ মারে কে


প্রকাশিত: ০৬:০৬ এএম, ২২ এপ্রিল ২০১৫

রাখে আল্লাহ মারে কে? এর জলজ্যান্ত প্রমাণ হচ্ছেন ইতালির ট্রলার ডুবির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া এক বাংলাদেশি। তবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

শনিবারের ট্রলার ডুবিতে সাতশ(৭০০) থেকে আটশ (৮০০) অভিবাসী মারা গেছেন। এর মধ্যে প্রাণে বেঁচে যাওয়া বাংলাদেশি এখন ইতালির কাতানিয়া নগরীর কান্নিজারো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গুরুতর অসুস্থতার কারণে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার পুরো ব্যাখ্যা জানতেই তাকে দ্রুত সুস্থ করতে রীতিমত ডাক্তারী সেবা চলছে। বর্তমানে তিনি একটু সুস্থ আছেন এবং কথাও বলছেন। তার কাছ থেকে অনেক তথ্যই ইতোমধ্যে সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

দুর্ঘটনা কবলিত বাংলাদেশির সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য আর্ন্তজাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো চেষ্টা করেও সোমবার বিকাল পর্যন্ত সাংবাদিকরা কথা বলতে পারেনি। তদন্তের স্বার্থেই বাংলাদেশির নাম, ঠিকানা প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না ইতালীয় প্রশাসন। এরই মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক স্থানীয় প্রশাসন ও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লোমহর্ষক ঘটনার বর্ননা দিয়েছেন।

লিবীয় উপকূল থেকে ছেড়ে আসা সেই মরণ খেয়ায় দুই`শ নারী ও চল্লিশ থেকে পঁয়তাল্লিশ শিশু ছিল। ডুবে মারা যাওয়ার মধ্যে অধিকাংশই নাইজেরিয়া, ঘানা, আলজেরিয়া, মিশর, সেনেগাল, মালি, গাম্বিয়ার নাগরিক ছিল বলে তিনি জানান।

কাতানিয়া পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন ওই বাংলদেশি নাগরিক। তবে তদন্তের স্বার্থেই তার সামান্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা হচ্ছে বলে জানান আধা সামরিক বাহিনীর একজন দায়িত্বশীল মুখপাত্র। তবে বাংলাদেশির নাম,পরিচয় জানতে চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান রোম দূতাবাসের কনস্যুলার রুবায়াত ই-আশিক।

এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবার আরও তিন`শ অভিবাসী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে যায়। পরে জরুরি বার্তার ভিত্তিতে তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।

এদিকে ইতালিতে অভিবাসীদের অনুপ্রবেশের ফলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) নেতাদের উদ্বেগ বেড়ে গেছে। এর ফলে ২০ এপ্রিল ব্রাসেলস এ (ইইউ) জরুরি সভা হয়। পরে ইইউ পরাষ্ট্রমন্ত্রী ফেদেরিকা মগেরিনি এক সংবাদ সম্মেলনে দ্রুত অভিবাসী সমস্যা সমাধান করার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।  উল্লেখ্য, ২০১৩ সালেও একটি ট্রলার ডুবে তিন`শ ছত্রিশ অভিবাসী মারা যায়।

এসএস/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।