নির্বাচনে থাকবে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা : ডিএমপি
র্যাব বিজিবি ও আনসার সদস্যদের সমন্বয় করে রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া একথা বলেন।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটাররা যাতে আনন্দঘন পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করতে পারেন সেজন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ডিএমপি। একটি স্বচ্ছ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিএমপি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই সিটি কর্পোরেশনকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। নির্বাচন পূর্ব, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
নির্বাচনের দিন রাজধানীর ৯৩ টি নির্বাচনী ওয়ার্ডে ২টি করে মোবাইল টিম টহল দেবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে প্রতিটি টিমে র্যাব পুলিশ আনসার সদস্য থাকবে। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে ৩১টি। মোবাইলকোর্ট চালু থাকবে ২৩টি। কোনো ধরণের অনিয়ম হলে তারা তাৎক্ষনিক সাজা প্রদান করবেন। এছাড়া নির্বাচনকে সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ করতে ডিএমপি আব্দুল গণি রোডে একটি প্রধান কন্ট্রোল রুম ও আরও চারটি সাব কন্ট্রোল রুম স্থাপন করবে।
তিনি জানান, নির্বাচনের সময় ও নির্বাচনের পরবর্তীতে ৭০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন বিজিবি সদস্যের সঙ্গে থাকবেন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে কাউকে সন্দেহ হলে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশী চালিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশে অনুমতি দেয়া হবে।
নির্বাচনী ভোট কেন্দ্র ও নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার স্থান ও এর আশপাশ এলাকা সিসি ক্যামেরা দিয়ে সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ করা হবে। এর আগে কমিশনার বলেন, নির্বাচনের পূর্বে যেন কোনো ঘনবসতি এলাকায় কালো টাকার লেনদেন না হয় সেজন্য সাদা পোষাকে পুলিশের গোয়েন্দা সদস্যরা কাজ করবে। নির্বাচন পরবর্তী উত্তেজনা থাকা অবধি পুলিশ নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষনিক কাজ করবে।এছাড়া পুরো নির্বাচনী এলাকা পর্যবেক্ষণের জন্য প্রত্যেক ডিসি পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন।
জেইউ/এআর/এএইচ/এমএস