রামপুরা ট্রাজেডি : হত্যা ও অস্ত্রসহ একাধিক মামলার আসামি মনির

তিনটি হত্যা ও দুটি অস্ত্র মামলাসহ চাঁদাবাজি ও মারামারির অভিযোগে ১০টি মামলার আসামি রাজধানীর রামপুরার ট্রাজেডির মূল হোতা যুবলীগ নেতা মো. মনিরুজ্জামান চৌধুরী (৩৮)। এসব মামলায় একাধিকবার জেলও খেটেছেন তিনি।
রাজধানীর টিকাটুলিতে র্যাব-৩ কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ পরিচালক (সিও) লেফট্যানেন্ট কর্নেল খন্দকার গোলাম সারোয়ার এ সব তথ্য জানান। এর আগে সোমবার ভোরে কুমিল্লার নিশ্চিন্তপুরের টিপরাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বাসা থেকে মনিরুজ্জামান চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৩ পরিচালক (সিও) লেফট্যানেন্ট কর্নেল খন্দকার গোলাম সারোয়ার বলেন, ১৫ এপ্রিল বিকেল ৩টার দিকে মালিবাগ চৌধুরী পাড়ার বেগের বাড়ির ঝিলপাড়ে দুই তলা উচু একটি টিনসেড ঘর দেবে পানিতে ডুবে যায়। এতে ১২ জন মারা যান এবং অনেকে গুরুত্বর আহত হন।
অবৈধভাবে জমি দখল করে মনিরুজ্জামান ডোবার উপর বাশ ও কাঠ দিয়ে ২০-২৫ কক্ষ বিশিষ্ট ওই ঘরটি নির্মাণ করেন এবং বিভিন্ন নিন্মবিত্ত পরিবারের কাছে ভাড়া দেন।
খন্দকার গোলাম সারোয়ার বলেন, এ ঘটনায় রামপুরা থানার এসআই আব্দুর রশিদ বাদি হয়ে মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১৬ এপ্রিল একটি হত্যা মামলা (মামলা নম্বর-১৯) দায়ের করেন। এ ঘটনার পর থেকেই মনিরুজ্জামান পলাতক ছিলেন। তবে গোয়েন্দাদের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর মেজর কবিরের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার নিশ্চিন্তপুরের টিপরাবাজারের একটি বাসা থেকে সোমবার ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, মনিরুজ্জামান নিজেকে ডিশ ব্যবসায়ি বলে দাবি করলেও ২২ বছর ধরে মালিবাগ চৌধুরী পাড়া এলাকায় বিভিন্ন গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানে চাদাবাজী করে আসছে।
মনিরুজ্জামানকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরী পাড়ার বেগের বাড়ির ঝিলপাড়ে টিনসেড ঘর দেবে যায়। এ ঘটনায় পানিতে ডুবে মারা যান নিজাম উদ্দিন (৪৫), মিজানুর রহমান (৩০), হারুনুর রশিদ (২৮), সাইফুল ইসলাম (১৪), খাদিজা (১৯), কল্পনা বেগম (৪৫), রোকসানা আক্তার (২২), জোছনা (৪০), ফারজানা (১২), জাকির (৩৫), রুনা (১৪) ও অজ্ঞাত আরো একজন মারা যান।
# রামপুরা ট্রাজেডি : বাড়ির মালিক মনির গ্রেফতার
জেইউ/আরএস/আরআই