‘মেধাবী জাতি গঠনে ডিমের গুণাগুন জানা অপরিহার্য’
প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠনে ডিমের গুণাগুন সম্পর্কে আমাদের সবার জানা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
শুক্রবার ২২তম ‘বিশ্ব ডিম দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর যৌথভাবে এর আয়োজন করে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থ সবল জাতি চাই, সব বয়সেই ডিম খাই’।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২১ শতকের লক্ষ্য অর্জনে আমাদের ডিম উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। সে জন্য ক্ষুদ্র ও বড় খামারিদের মধ্যে একটি সুন্দর ব্যবস্থাপনা সৃষ্টি করতে হবে। যেন তারা একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায়।
অর্থনৈতিক দিক থেকে পোল্ট্রি শিল্পের গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশের প্রায় ৬৫ হাজার লোক এ খাতের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। ফলে অর্থনৈতিক বিকাশে এ শিল্পের গুরুত্ব অনেক।
তিনি বলেন, কৃত্রিমভাবে ডিম তৈরির কোনো প্রমাণ নেই, আপনারা এটার প্রতি কর্ণপাত করবেন না। চীন সফরের সময় আমি সে দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম। তিনি আমাকে জানিয়েছেন তাদের দেশে এমন কোনও কিছু্ই হয় না।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মো. আইনুল হক বলেন, বছরে একজন মানুষের ১০৪টি ডিম খাওয়া দরকার। সেখানে আমরা গড়ে ৫১টি ডিম খাচ্ছি। তাই পুষ্টির কথা মাথায় রেখে আমাদের আরও ডিম খাওয়া দরকার।
বিপিআইসিসির সভাপতি মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান, বিপিআইসিসির মিডিয়া উপদেষ্টা সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।
এএস/এমএ/এমএমজেড/আইআই